দুর্গাপুজো ২০২৫: গ্রাম ও শহরের পুজোয় উৎসবের দুই রঙ

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

দুর্গাপুজোর আগমনে গোটা বাংলা যেন রঙিন উৎসবের আসরে মেতে উঠেছে। ঢাকের আওয়াজ, আলোর ঝলকানি, আর আনন্দের ঢেউ—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের এই সময়টা একেবারে অনন্য। তবে গ্রাম আর শহরের পুজোয় রয়েছে এক বিশেষ বৈচিত্র্য। একই দেবী, একই আবেগ, কিন্তু উৎসবের প্রকাশ ভিন্ন রঙে ধরা দেয়।

গ্রামীণ পুজো: সরলতা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন

গ্রামে দুর্গাপুজো মানেই পারিবারিক ও পাড়ার মিলনমেলা। বাঁশ ও কাপড়ে তৈরি খোলা মণ্ডপ, স্থানীয় কারিগরের হাতে গড়া মাটির প্রতিমা, পাড়ার ছেলেদের হাতে সাজসজ্জা—সব মিলিয়ে পুজোর আবহটা থাকে ঘরোয়া ও আন্তরিক। পুজোর দিনগুলিতে সকলে মিলে অঞ্জলি, ভোগ বিতরণ, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রযুক্তির চাকচিক্য কম হলেও গ্রামীণ পুজোর মূল আকর্ষণ হল সেই আত্মিক বন্ধন ও ঐতিহ্যের গন্ধ।

শহুরে পুজো: থিম, আলো আর উৎসবের কার্নিভাল

অন্যদিকে শহরের পুজো এখন এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। থিম মণ্ডপ, চমকপ্রদ আলোকসজ্জা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইনস্টলেশন, প্যান্ডেল হপিং আর ফটোসেশনে ভরা শহুরে পুজো যেন এক উৎসবমুখর কার্নিভাল। নানা পুজো কমিটির মধ্যে সেরার লড়াই, দর্শনার্থীর ভিড়, খাওয়া-দাওয়া ও শপিং মিলিয়ে শহরের পুজো এক আলাদা উৎসবের আবহ তৈরি করে।

ভিন্নতা থাকলেও আবেগ এক

গ্রাম বা শহর—যেখানেই হোক, দুর্গাপুজোর আসল শক্তি মানুষের মিলন ও আনন্দ ভাগাভাগিতে। মায়ের আগমনকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, ঐক্য ও ভক্তি দুই জায়গাতেই সমানভাবে ধরা দেয়। এই উৎসবই প্রতি বছর নতুন করে মনে করিয়ে দেয়, বাংলার হৃদয়ে দুর্গাপুজো কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিক বন্ধনেরও এক শক্তিশালী সেতু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *