
শম্ভুনাথ সেনঃ
মায়ের বিসর্জন দেখতে পুকুরের চারপাশ জুড়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়। তবে দুর্গা মায়ের বিসর্জন নয়, শারদীয়া একাদশীতেই বিসর্জন হয় বীরভূমের দুবরাজপুর পাহাড়েশ্বর শ্মশানকালীর। এটাই দীর্ঘদিনের প্রাচীন প্রথা। অমাবস্যায় কালীপূজা হওয়ার পর এখানে মা কালীর বিসর্জন হয় না। মা মন্দিরে থাকেন সারা বছর। তবে এক বছর পর এই একাদশীর দিনেই পুরোনো প্রথা অনুযায়ী শতাব্দী প্রাচীন পাহাড়েশ্বর শ্মশানকালীর বিসর্জন হয়। কালীপুজোর পর থেকে বছরভর মন্দিরেই থাকে মায়ের মূর্তি। মা পুজিতা হন সারা বছর। এক বছর পর দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন স্থানীয় দাস পরিবারের লোকেরা বিসর্জন করে এই বিশাল শ্মশানকালী মূর্তি। তা দেখার জন্য কয়েক হাজার ভক্ত দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। আজ ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ সন্নিহিত রুজের পুকুরে মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের একদিন পর অর্থাৎ আগামী ত্রয়োদশীর দিন নতুন করে পুনরায় মূর্তি বানানো শুরু করে বৈষ্ণবরা। পরম্পরা ভাবে বৈষ্ণবরা বছরভর এই মায়ের পুজো করেন। রীতি মেনে বহু বছর আগে থেকে এমনটাই হয়ে আসছে। একাদশীতে এই বিসর্জন দেখতে দুবরাজপুর সহ গোকরুল, কুখুটিয়া, চণ্ডীপুর, হালসোত, পণ্ডিতপুর, মাজুরিয়া, যশপুর, গুন্ডবা এমন আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষের ভিড় জমে। থাকে আলাদা উন্মাদনা। উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে সহ পুরকাউন্সিলরগণ এবং দুবরাজপুর থানা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
