
অভীক মিত্রঃ
সিউড়ি মহকুমার জাম্বুনি যাত্রী প্রতীক্ষালয় বর্তমানে ভগ্নদশায় যার চারপাশ ঘিরে রয়েছে আগাছা ঝোপ জঙ্গল। পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ছে ফলে রৌদ্র বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে বাস ধরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। হুঁশ নেই প্রশাসনের। ১৪নং জাতীয় সড়কের পাশেই অবস্থিত জাম্বুনি যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ভঙ্গদশায় পড়ে রয়েছে। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প সৌজন্যে ১৯৯৭ সালে জাম্বুনি প্রতীক্ষালয়টি নির্মিত হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে জাম্বুনি প্রতীক্ষালয়টি দেখভালের অভাবে ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। চারপাশে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। সামনের দিকে পিছনের দিকে খসে পড়ছে দেওয়াল। বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে জল পড়ে। বর্ষাকালে চারিদিকে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। সাপ সহ অন্যান্য বিষাক্ত পোকামাকড়ের আতঙ্কে যাত্রীরা রোদ ঝড় বৃষ্টিতে প্রতীক্ষালয়ের বাইরে বাসের জন্য অপেক্ষা করে কিন্তু সবটা জেনেও নির্বিকার প্রশাসন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। মালদা, দুর্গাপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোল, কলকাতা, বহরমপুর সহ বিভিন্ন রুটে যাওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি বাস ধরে এই এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরাও জাম্বুনি বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরে। যাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি মেরামত করে দ্রুত ব্যবহারের যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলা হোক। তবে এখন দেখার কবে দৃষ্টি পড়বে প্রশাসনের।