
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূমের রামপুরহাট এলাকায় নাবালিকা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও টুকরো টুকরো করে হত্যার জেরে আদিবাসী সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত। অনুরূপ শুক্রবার ফের রামপুরহাট শহরের মধ্যে দিশম আদিবাসী গাঁওতার ডাকে মহা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিখোঁজ থাকার প্রায় কুড়ি দিন পর টুকরো টুকরো অবস্থায় জলের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। যদিও দেহের একটা অংশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে ক্ষোভ।১৩ বছর বয়সের নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তারই স্কুলের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ পালের বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি আদিবাসী বিভিন্ন সংগঠন। রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতারাও মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের একটাই দাবি উপযুক্ত শিক্ষককে অবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে। সেই মোতাবেক এদিন ফের দিশম আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রামপুরহাট শহর পরিক্রমা করার পর পাঁচ মাথায় শেষ হয় এবং সেইখানেই সংগঠনের পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ ও একটি পথসভা করা হয়। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় অবিলম্বে ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা ছাত্রী খুনের অভিযুক্তকে ফাঁসি দিতে হবে ও তার সঙ্গে আরো কেউ যদি জড়িত থাকে তাদেরকেও চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামপুরহাট শহরে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।দিশম আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে রবীন সরেন বলেন আমাদের একটাই দাবি মনোজ পালের ফাঁসি হোক। কোনো অবস্থায় যেন ফাঁকফোকর না থাকে তা প্রশাসনকে সজাগ থাকার বার্তা।মৃত ছাত্রীর দেহের একটা অংশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি,তা উদ্ধার করা। ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে রামপুরহাট শহর স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। শাসক দল বিরোধী দল আদিবাসী সংগঠনের প্রতি কুৎসা রটানো হয়েছে। মৃতার পরিবারের লোকজন আমাদের সঙ্গে আছে,এখানে কোনো রাজনৈতিক দল দাঁত ফোটাতে পারবে না। মনোজ পালের ফাঁসির দাবিতে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া হবে। রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। মনোজ পালের ফাঁসি চাই এরজন্য আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।

