বীরভূমের মহঃবাজারে কর্মরত অবস্থায় আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মীর মাথায় ২২টি সেলাই

শম্ভুনাথ সেনঃ

কর্মরত অবস্থায় নৃশংসভাবে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। আহতের নাম রীনা মণ্ডল। ফার্স্ট এএনএম পদে তিনি কর্মরত। তাঁর মাথায় পড়েছে ২২টি সেলাই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গুরুতর আঘাত।
ঘটনাটি ঘটেছে ২২ অক্টোবর, বুধবার বিকেলে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার কাঁইজুলি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জানা গেছে, সেদিন ডিউটি শেষে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করছিলেন রীনা মণ্ডল। ঠিক সেই সময় স্থানীয় এক যুবক শুভ ওরফে রাজীব কাহার মদ্যপ অবস্থায় সেখানে এসে চিকিৎসা পরিষেবার দাবি করে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন।
স্বার্থকর্মী জানান, তিনি শান্তভাবে বলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে, প্রয়োজনে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে। এই কথাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শুভ রাস্তায় পড়ে থাকা একটি পাথর তুলে তাঁর মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রীনা মণ্ডল। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত শুভ ওরফে রাজীব কাহারকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যান্য গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে প্রবল আতঙ্ক। উল্লেখ্য, রীনা মণ্ডলের স্বামী সন্তোষ মণ্ডল বলেন “আমার স্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন, মাথায় ২২টা স্টিচ পড়েছে। ওখানে আর ডিউটি করা সম্ভব নয়। এটা প্রায় মার্ডার কেসের মতো ঘটনা।” স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রশাসনের কাছে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *