সন্তোষ পাল ও দীপককুমার দাসঃ
বেশ কয়েকদিন ধরে ইডির হানায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ৩ অগাষ্ট, বুধবার সকালে ইডি আধিকারিকরা একযোগে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। মঙ্গলবার রাতেই ইডি আধিকারিকরা বোলপুরে চলে আসেন। বোলপুরে রতনপল্লী গেস্ট হাউস থেকে ১৪টি দল তদন্তে বের হয়। তারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রওনা দেন আমোদপুর, নানুরের বাসাপাড়া ও সিউড়িতে। সিউড়িতে তল্লাশি শুরু হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী টুলু মন্ডলের সুভাষপল্লীর বাড়িতে। একসাথে তল্লাশি চালানো হয় টুলু মন্ডলের সাজানোপল্লী ও পাইকপাড়ার বাড়িতেও। তল্লাশি চালানো হয় মহঃবাজারের ডেউচাতে টুলু মন্ডলের পেট্রোল পাম্পে। অভিযান চলে পাঁচামীর ক্রাশারেও। সূত্রের খবর জেরায় টুলু মন্ডলের নাম করে সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিন সকালে তল্লাশি চালানো হয় অনুব্রত মণ্ডলের আরেক ঘনিষ্ঠ কেরিম খানের বাসাপাড়ার বাড়িতে। কেরিম খান বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। অভিযান চালানো হয় বোলপুরের ফুলডাঙায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর “অপা” বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক রাজীব ভট্টাচার্য এর আমোদপুরের বাড়িতে।