বিজয়কুমার দাসঃ
৫ আগস্ট সাঁইথিয়া রেল ময়দানে ভারতীয় জনতা পার্টি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁর বক্তব্যে শাসক দলকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে বলেন, গলা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, রাজ্যের দু নম্বর মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর সঙ্গে বীরভূমের জেলা সভাপতিকেও জেলে ঢুকতে হবে। তীব্র আক্রমণ শাণিয়ে তিনি বলেন, গোরু পাচার, কয়লা পাচার, চাকরীর নামে টাকা আদায় করার মজা তাদের বুঝতে হবে। এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী বলে তিনি এই সভায় ঘোষণা করেন। দেউচা পাঁচামীর কয়লাখনির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আদিবাসীদের উৎখাত করে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে চাকরির টোপ দিয়ে এই কয়লাখনি কোনমতেই হবে না। শ্রীঅধিকারী তাঁর বক্তব্যে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের পাশাপাশি সাঁইথিয়ার বিধায়ক এবং পুরপিতা সম্পর্কেও কটুক্তি করেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, শুধু পার্থ নয়-আগাপাশতলা দুর্নীতিতে যুক্ত এবং সেটা প্রমাণিত। প্রত্যেককে জেলে ঢোকাতে হবে বলে তিনি দাবি করেন এই সভায়। সবরকম দুর্নীতির মধ্যমণি হিসাবে কার্যত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলেন, শুধু দুর্নীতি ,শুধু টাকা। কেন্দ্রের প্রকল্প বাংলার প্রকল্প নামে চালিয়ে নাম কেনার ধান্দা।এসব আর চলবে না। এ তো সবে শুরু, এখনো জেলে ঢুকতে হবে অনেককে এবং অবিলম্বে এই সরকারের পতন হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন এই সভায়। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলেন, মোদিজীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সব শ্রেণির মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ভারত এখন এক নতুন ভারত হয়ে উঠছে। এদিনের সভায় অন্যান্য বক্তার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা, প্রাক্তন সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, বিধায়ক দীপক বর্মণ, মহিলা নেত্রী মাফুজা খাতুন, দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা প্রমুখ। অন্যদিকে এই সভায় সাঁইথিয়ার বিধায়ক ও পুরপিতাকে বক্তব্যে আক্রমন করায় শহর তৃণমূল কর্মীরা সমাজ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে।
সভা উপলক্ষে সাঁইথিয়ার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের ছবি টাঙানো হয়েছিল।