শম্ভুনাথ সেনঃ
২২ শে শ্রাবণ। বাঙালির জীবনে পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা একটি দিন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম স্রষ্টা বাঙালির প্রিয় কবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এমন এক ২২ শ্রাবণ বেলা ১২.১০ মিনিটে কলকাতার জোড়াসাঁকোয় কবির হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়। শোকে পাথর হয়ে যায় বাংলা ও বাঙালি। প্রতিবছর ফিরে ফিরে আসে এই ২২ শ্রাবণ। কবির স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদিত হয়। এবারও সারা বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ৮২ তম প্রয়াণ দিবস। কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে এদিন সকালে উপাসনা গৃহে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে কবির তিরোধান দিবস পালিত হয়। টানা এক সপ্তাহ নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস পালন করবে বিশ্বভারতী। বীরভূম জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজনে এদিন সন্ধ্যায় সিউড়ির সিধু কানু মঞ্চে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবি প্রণামের আয়োজন করা হয়। কবির প্রতিকৃতিতে ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীরভূম জেলা সমাহর্তা বিধান রায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী এবং রবীন্দ্র অনুরাগী বহু মানুষজন। বীরভূমের দুবরাজপুর পুরশহরে “সেঁজুতি” নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে কবির প্রয়াণ দিবসে “শ্রাবণ সন্ধ্যা” অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে সহ সংস্কৃতিমনা বহু গুণী ব্যক্তিত্ব। নৃত্য, গান, কথা কবিতায় পালিত হয় দিনটি। এদিন নাটক অমল ও দইওয়ালা মঞ্চস্থ হয় শিশু শিল্পীদের অভিনয়ে। কবির প্রয়াণ দিবসে নয়াপ্রজন্মের পক্ষ থেকে রইল আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।