সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
খেলা হবে শ্লোগানের স্রষ্টা বীরভূম জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। সেই অনুব্রত মন্ডলের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে বই লিখেছেন চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বইয়ের নাম “খেলা হবে”, খেলতে খেলতেই কেষ্ট-অনুব্রত । বৃহস্পতিবার সেই বইয়ের লেখক কে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে বোলপুরে সিবিআই এর অস্থায়ী অফিসে ডেকে জেরা করা হয়। এদিন বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক আধিকারিকদেরও তলব করে সকাল থেকেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্বামী সঙ্ঘমিত্রানন্দ শান্তি মহারাজ, বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের স্বামী বাবু দাস, জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ কে ডেকে জিজ্ঞেসাবাদ করে সিবিআই। সিবিআই জেরা থেকে বেরিয়ে চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, অ থেকে অনুব্রত “খেলা হবে” জীবনী বই লেখার জন্য ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সুবাদে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সম্পাদক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সুদীপ্ত ঘোষকে এদিন অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।অপরদিকে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই জানতে পারে, বোলপুর এলাকায় বহু জমি কেনাবেচায় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের জমি বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে চার বিঘা জমি কেনেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ও কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুতবরণের সংস্থা। মূল্য নির্ধারণ ক্ষেত্রে দেখে, যে জমির দাম ১০ কোটি, সেটা হস্তান্তর হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৬০ হাজার টাকায়! সেখানেই তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাহলে কি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের উপর চাপ সৃষ্টি করে জমি হস্তান্তর করানো হয়েছিল? এদিন সেই পরিপ্রেক্ষিতে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্বামী সঙ্ঘমিত্রানন্দ শান্তি মহারাজকে।
অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই এর আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী ক্যাম্পে নথি জমা এবং নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেন আধিকারিকেরা। জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ সাংবাদিকদের জানান দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই সিবিআই এর আধিকারিকেরা ডেকে পাঠান। একের পর এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের তলব করে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কবে, কোথা থেকে টাকা ঢুকেছে, গোরু পাচারের কোনও টাকা ঢুকেছে কিনা, সে বিষয়েই খোঁজ-খবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।