শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ১৭ নভেম্বর, কার্তিক সংক্রান্তি। কৃষিনির্ভর বীরভূমে এই দিনটিতে এখনো গ্রামে গ্রামে মুট আনা বা “মুটলক্ষ্মী” পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজা হলো প্রকৃতি মানুষের সহবস্থানকে শ্রদ্ধা জানানোর পুজো। মূলতঃ ধান কাটার সূচনা পর্ব। প্রতিটি কৃষিজীবী পরিবারের একজন সদস্য সাত সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে পবিত্র হয়ে তাঁদের ধানের জমিতে ঈশান কোণে আড়াই আলুই পাকা ধান কেটে নিয়ে আসেন বাড়িতে। ধানের শিষগুলি থাকে সামনের দিকে। মৌনব্রত অবস্থায় (এই সময় কাউকে কথা বলা যায়না) মাঠ থেকে মাথায় করে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরেন। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দিয়ে তাকে পা ধুইয়ে বরণ করে নেয় এয়োতীরা। সেই ধান লক্ষ্মীবেদীতে রাখা হয়।বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের গাংটে গ্রামে তেমন ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের সর্বাধিক প্রচারিত পূর্ণাঙ্গ সাপ্তাহিকী “নয়াপ্রজন্মে’র” পাতায়। ধান কেটে মাথায় করে নিয়ে আসছেন গ্রামের এক কৃষিজীবী উৎপল চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বাড়িতে পুজো অনুষ্ঠানে ব্যস্ত বামাচরণ মুখোপাধ্যায়। উৎসবের ইতিহাস তুলে ধরেছেন গ্রামেরই এক প্রবীণ পুরোহিত রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।