দীপককূমার দাসঃ
মহঃ বাজার থানার ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের হাবরাপাহাড়ী গ্রামে সোমবার রাতে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অশোক বাউড়ি, কাজল বাউড়ি ও কমল বাউড়ি নামে তিনজনকে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করে পুলিশ। বীরভূমের লোকপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অশোক বাউড়িকে। দুবরাজপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কাজল বাউড়ি ও কমল বাউড়ি নামে দুজনকে। শুক্রবার তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। সোমবার রাতে মহঃবাজার থানার ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের হাবরাপাহাড়ী গ্রামে খুন হন পাথর খাদান কর্মী ধনু শেখ ওরফে ইয়াদ আলি (৪৭) ও ঢোলকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধনা হাঁসদা (৪০) সোমবার রাতে ঘটনাস্থলেই দুস্কৃতির গুলিতে মারা যান ধনু শেখ ওরফে ইয়াদ আলি। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার বেলগ্রামে। তিনি হাবরাপাহাড়িতে পাথর খাদানে ড্রিল ম্যানের কাজ করতেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক ধনা হাঁসদাকে প্রথমে সিউড়ি হাসপাতালে ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার রাতে মারা যান। এক দুস্কৃতি সাইকেলে চড়ে এসে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। গুলি করার পর সাইকেল ও টর্চ ফেলে চম্পট দেয়। সোমবার রাত নয়টা নাগাদ গ্রামের নির্মীয়মান ক্লাবে বসে থাকতে দেখা গেছিল অপরিচিত মাঝবয়সী এক ব্যাক্তিকে।তার কাছে সাইকেল ও টর্চ ছিল। অপরিচিত ঐ ব্যক্তিকে আগে কেউ ওখানে দেখেনি বলে জানান গ্রামবাসীরা। ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঐ গ্রামের এক মহিলা ও এক পুরুষের নাম বলে এবং তারা তার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে জানায়। গ্রামের বাসিন্দা লক্ষীরাম বাগ্দী বলেন, অপরিচিত ঐ ব্যক্তি ঠিক কথা বলছে কিনা তা যাচাই করতে ধনা হাঁসদা ঐ ব্যক্তির হাত ধরে যাদের নাম বলেছে তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে ধনু শেখ ও ছিল। আচমকা ঐ ব্যক্তি গুলি চালায়। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ধনু শেখ। পিঠে গুলি লাগে ধনা হাঁসদার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ধনু শেখের। আর রক্তাক্ত অবস্থায় ধনা হাঁসদাকে প্রথমে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে মারা যান তিনি। ঘটনার পরপরই সাইকেল ও টর্চ ফেলে পালিয়ে যায় ঐ দুস্কৃতি। এই ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বীরভূমের লোকপুর ও দুবরাজপুর থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কি কারণে খুন দোষীদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।