দিদির দূত হিসেবে সাংসদ শতাব্দী রায়কে কাছে পেয়ে এলাকাবাসী জানালেন নানান সমস্যার কথা, খয়রাশোলের বড়রা পঞ্চায়েত এলাকায়

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এবং আগামী লোকসভার কথা মাথায় রেখে জনগণের মন বুঝতে তথা অভাব অভিযোগ শুনতে দিদির দূত নামক কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক থেকে শুরু উচ্চ নেতৃত্ব তৃণমূল স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। স্থানীয় মন্দিরে পূজা, মসজিদ, মাজার শরীফে চাদর চড়ানো থেকে প্রার্থনা বা দোয়া খয়েরের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সাথে এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন কোথাও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আবার কোথাও সমাধান করতেও দেখা গেছে দ্রুত গতিতে। এসব মিলিয়ে ১১ জানুয়ারি থেকে মাঠে ময়দানে দিদির দূত হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। অনুরূপ ২৭ জানুয়ারী খয়রাশোল ব্লকের বড়রা অঞ্চল এলাকায় দিদির দূত হিসেবে আসেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিন প্রথমেই বড়রা অঞ্চলের কাঁকরতলা দূর্গা মন্দিরে পূজা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্থানীয় মানুষের কাছে তাদের অভাব অভিযোগ তথা সমস্যার কথা শোনেন। এরপর কৈঁথী গ্রামে ঢুকতেই বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয় দিদির দূতকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ রাস্তা, ড্রেন, পথবাতি, পানীয় জল ইত্যাদি বিষয়ে। বামফ্রন্টের আমল থেকে গ্রামের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরে জলের পাইপলাইন বসানো থাকলেও জলের সংযোগ স্থাপন করা হয়নি বলে সেখ আসাদুল্লা হক, মীর মজিবুর রহমানের মতো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিরে, বিনোদপুর এলাকায় ও বালির গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে খুব সমস্যা, গ্রামের ঐ পথ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসতে চাই না। সেই সাথে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ও ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় গ্রামের পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে। বড়রা হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংসদকে শিক্ষিকার ভূমিকা ধারণ করতে দেখা যায়। পড়ুয়াদের নাম জিঙ্গাসা করেন এবং মিডডে মিলের খাবার সংক্রান্ত খবর নেন পড়ুয়াদের কাছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মাত্র সেবিকা। নেই কোনো চিকিৎসক, ঘরের অবস্থা ও শোচনীয়। এনিয়ে তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব কাঞ্চন অধিকারী, সেখ জয়নাল সহ এলাকাবাসী শতাব্দীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক দেওয়ার জন্য ফিল্ড থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে ফোনে কথা বলেন এবং ঘর সংস্কারের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে পাঁচ লাখ টাকা দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এদিন এক পথ সভার ও আয়োজন করা হয় এবং সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *