শম্ভুনাথ সেনঃ
কৃষি নির্ভর বীরভূম, আর বীরভূমের কৃষি মূলতঃ বৃষ্টি নির্ভর। এবার বর্ষায় বৃষ্টির অভাবে আমন চাষ মার খেয়েছে। ৪০ শতাংশ জমিতে ধান রোপন করা যায়নি। তাছাড়া বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জল সঞ্চয় হয়নি তিলপাড়া, হিংলো, বৈধরা এমন সব জলাধার গুলিতে। ভেঙে পড়েছে বীরভূমের অর্থনীতি! কৃষিজীবীদের মন, মুখ শুকনো। ফলে এবার বোরো চাষের উপর জোর দিয়েছে চাষী। তবে বীরভূমের জলাধারগুলিতে তেমন জল সঞ্চয় নেই, তাই ক্যানেলে এবার সেচের জল দেওয়া যাবে না। এ তথ্য জেলার চাষীদেরকে আগেই জানিয়ে দিয়েছে সেচ বিভাগ। ভূগর্ভস্থ জলের উপর ভরসা করেই এবার মূলতঃ বোরো চাষ হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। চলতি মরশুমে ৯০,১০০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ধান রোয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে খবর। ময়ূরেশ্বর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, লাভপুর, ইলামবাজার এমন সব ব্লক গুলিতে ধান রোয়ার কাজ চলছে পুরোদমে। তবে ভূগর্ভস্থ জলে চাষ করতে খরচ বেশি। অন্যদিকে কৃষি যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ বিল, রাসায়নিক সারের অত্যধিক দাম, কৃষি শ্রমিকের বাড়তি মজুরিতে চাষিরা বেশ বিপাকে। ইলামবাজার ব্লকের ঘুড়িষা গ্রামের এক চাষী সেখ ফয়জুদ্দিন নয়াপ্রজন্মকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই সংকটের কথা।