সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট বাজতে না বাজতেই দল বদলের খেলা শুরু হয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে ঘর গোছানোর কাজে কমবেশি সমস্ত রাজনৈতিক দল ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ছে। শুক্রবার সেইরূপ বীরভূম জেলা যুব কংগ্রেস ও নলহাটি ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয় বাউটিয়া অঞ্চলের চাঁচকা গ্রামে। সেই যোগদান সভায় সাত শতাধিক তৃণমূল কর্মী তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসের যোগদান করেন বলে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি।তৃনমূল কংগ্রেস ছেড়ে আসা কর্মীদের হাতে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি নাসিরুল শেখ। তার বক্তব্য তৃণমূলের লাগামহীন দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে শিক্ষা ক্ষেত্রে, কয়লা পাচার, গরু পাচার, বাংলার বেকার ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে ছিনিমিনি করা, বাংলায় কোন শিল্প নেই-কল কারখানা নেই, চাকরি নেই, বাংলায় বেকারত্বে হাহাকার করছে। বাংলার মানুষকে দেউলিয়া করে তুলেছে। কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না,দাম পাচ্ছে না। সারের দাম আকাশ ছোঁয়া। দিদি যতই তার দিদির দূত প্রকল্প চালু করুক না কেন, বাংলার মানুষ তাদেরকে ভূত ভেবে তাড়িয়ে দেবে। একের পর এক তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করতে শুরু করেছে এবং সেটা ধারাবাহিক ভাবে চলছে। আগামী দিনে তৃণমূল দলটির পতাকা ধরার কেউ থাকবে না। এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি নাসিরুল শেখ, জেলা সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান, নলহাটি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সাদ্দাম দেওয়ান, নলহাটি ব্লক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর সেলিম, বাউটি অঞ্চলের দলীয় সভাপতি সীতারাম ঘোষ সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব বৃন্দ।