দীনবন্ধু দাসঃ
২২ মার্চ বুধবার আন্তর্জাতিক জল দিবস ও মাষ্টারদা সূর্য সেনের জন্মদিনে পাইকরে জল দিবসে জল অপচয়েল বিরুদ্ধে নানান শ্লোগানে ভর্তি প্লাকেট হাতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমায় বেড় হয়ে গ্রামের বিভিন্ন পথ ঘুরে বেড়ায় এবং জায়গা জায়গায় পথসভা করে জনসাধারণকে জল অপচয় বিষয়ে সচেতনতার বার্তা প্রচার করে। মুরারই রঘুনাথগঞ্জ রোডের পাইকর বাসস্যাণ্ড থেকে পথপরিক্রমা শুরু হয়। সেখানে দলের প্রধান উদ্যোগী চিত্রদীপ চক্রবর্তী আজকের পথপরিক্রমা ও পথ সভার বিষয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে বলেন- আজকে বিশ্ব জল দিবস বা আন্তর্জাতিক জল দিবস এবং মাষ্টারদা সূর্য্য সেনের জন্মদিন, আমাদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। আজ বিশ্বের নানা দেশে, স্থানে জল সঙ্কট দেখা দিচ্ছে এ অবস্থায় আমাদের আরও বেশি সতর্ক সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। অতিরিক্ত এক ফোঁটা জলও যাতে নষ্ট না হয় অপচয় না হয় সে বিষয়ে আমাদের সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাড়িতে বা রাস্তায় কলের মুখ খুলে রেখে জলের অপচয় বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। আজকের দিনে মাষ্টার দা সূর্য্য সেনের মত আদর্শ বিপ্লবী মানুষের একান্ত প্রয়োজন, আজকে দেশ শাসকরা এতটাই কলঙ্কিত দুর্নীতিগ্রস্থ যে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সামনে আদর্শ মানুষ নাই। এখন আপনারা যদি সবাই মিলে জল অপচয় বন্ধ করেন তবেই আমাদের প্রচেষ্টা সফল হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন মাষ্টার দা সূর্য্য সেনের নামে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই জনতার মধ্য থেকে আট/দশজন মানুষ এগিয়ে এসে সপথ নিয়ে বললো- ‘আমি মাষ্টার দা সূর্য্য সেনের নামে সপথ গ্রহণ করছি যে জল অপচয় বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো’। সপথ গ্রহণ কারি প্রত্যেককে চকলেট দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়। এরপর শতাধিক কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতীর পথ পরিক্রমা এগিয়ে চলে চলতে থাকে শ্লোগান – জল অপচয় বন্ধ না হলে মিলবে না আর স্নানের জল পানীয় জল, জল অপচয় রাখলে জারি পড়বে শুধু চোখের জল, কখনো গাইতে থাকে স্বরচিত গান ‘ জল বাঁচিয়ে রাখব, নষ্ট করব না ‘ এইভাবে গ্রামের ছয়/সাত স্থানে বক্তব্য রাখেন সকলেই ছাত্র ছাত্রী যথাক্রমে মোনালিসা পাল, দেবপ্রিয় দাস, সায়ন্তনী সিনহা, শমিক রবিদাস, সৌরভ ঘোষ, গৌরব প্রামানিক, অরিজিৎ মুখার্জী এবং মোট প্রায় একশত মানুষ সেচ্ছায় এগিয়ে এসে শপথগ্রহণ করেন – একই শপথ বাক্য উচ্চারণ করে এবং প্রত্যেক কেই একই ভাবে চকলেট দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়। গ্রামের অলিগলি পথ ঘুরে মিছিল এগিয়ে চলে পাইকর হালদার পাড়া হয়ে রায় পাড়ার মধ্য দিয়ে পাইকর বাসস্যান্ড যেখান থেকে মিছিল শুরু হয়েছে , জনতার মধ্য থেকে আওয়াজ শোনা যায় সত্যি জলের অপচয় বন্ধ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। সমগ্র পথযাত্রাটি পরিচালনা করেন পাইকর কুইজ সার্কিট ও সাংস্কৃতিক মঞ্চের কর্ণধার চিত্রদীপ চক্রবর্তী। পরিক্রমা শেষে এক সাক্ষাৎকারে জানায়-‘আমরা পাইকর গ্রামের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী এবং কুইজ কে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জনপ্রিয় করে যুবক যুবতী, কিশোর কিশোরীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটাতে চাই।’ পাইকর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পীঠস্থান এখানে প্রতিটি ছেলে মেয়ের ভিতরে সাংস্কৃতিক চেতনা আছে কিন্তু বিকাশের সুযোগ নাই। বর্তমান রাজনৈতিক আবহে সব ধ্বংসের পথে সেকারণে আমাদের এই গঠনমূলক উদ্দেশ্য পরিকল্পনা। আমরা নিজেরা মাসাধিক সময় ধরে একটা টিম এই বিষয়ে প্রচার, পোষ্টার দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে চেষ্টা এবং কিছু সেচ্ছাদানও গ্রহণ করেছি সে সংগ্রহিত অর্থে পদযাত্রায় খুদে অংশ গ্রহণকারীদের সামান্য টিফিনের ব্যবস্থা রেখেছি।