“হয় শিল্প করো, কাজ দাও-নয়তো জমি ফেরত দাও”- শিবপুর মৌজায় ফের আন্দোলন সংগঠিত

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

বোলপুরের শিবপুর মৌজায় শিবপুর জমিহারা কৃষক আন্দোলন মঞ্চের ডাকা রবিবার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে নাম না করেই একপ্রকার অনুব্রত মণ্ডলকে হুঁশিয়ারী দিলেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দেশের আইন অনুযায়ী বাঘ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, বাঘ যদি মানুষ খেকো হয় বাঘের চামড়া গা থেকে খুলে দেওয়ালে ঝোলাতে সাধারন মানুষ পিছপা হবে না। এদিন মহা সমাবেশের সভাস্থল থেকে সমস্ত বক্তার বক্তব্য থেকে আওয়াজ ওঠে যে-“হয় শিল্প করো, কাজ দাও, নয়তো জমি ফেরত দাও”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে জমি অধিকারের দাবিতে বোলপুর সংলগ্ন শিবপুর মৌজায় সভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার সকালে। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, আইনজীবী শামীম আহমেদ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোক নাথ বসু, শৈলেন মিশ্র, বকুল ঘরুই, চন্দন প্রামানিক সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য ২০০০ সালে বাম জমানায় বোলপুরের সংসদ প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় থাকাকালীন বোলপুরের শিবপুর মৌজায় ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পের জন্য। জমিদাতা কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, বড় শিল্প হাব হবে। কৃষকরা জমির ন্যায্য মূল্যের পাশাপাশি জমিদাতা পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলে ক্ষমতায় আসে শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ভারী শিল্প করার। জমির ন্যায্য মূল্যের পাশাপাশি পরিবার পিছু একজনের চাকরি ও হবে। জমি হারা কৃষকদের দাবি,প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উপরন্তু ওই ৩০০ একর বিতর্কিত জমির উপর নির্মাণ হয়েছে গীতবিতান টাউনশিপ। আবাসন প্রকল্প। বাকি জমিতে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার। তার পাশাপাশি গড়ে উঠেছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। শিল্পের নামে নেওয়া জমিতে শিল্প করতে হবে। না হলে জমি ফেরত দিক সরকার। বক্তারা আরো বলেন, অধিগৃহীত জায়গায় শিল্প করতে হবে। অন্যথায় জমি ফেরত দিতে হবে। আগামী দিনে লড়াই আরোও মজবুত করতে জমি হারা কৃষকরা চোখ রাঙালিকে উপেক্ষা করেই ঐক্যবদ্ধ হবেন। মঞ্চ থেকে ভাগ করার চেষ্টা হলেও আন্দোলন আরোও জোরদার হবে। শিবপুর জমিহারা কৃষক আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক শৈলেন মিশ্র বলেন এই আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চলছে।তবুও রাজ্য সরকারের কানে আন্দোলনের আওয়াজ যাচ্ছে না।বধিরকে শোনানোর জন্য উচ্চ কন্ঠের প্রয়োজন আছে।তাই আগামী দিনে আন্দোলনকে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *