সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
দিকে দিকে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা লুঠ, বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো, চুরি দুর্নীতি ও শাসক দলের লাগামহীন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টির ডাকে বীরভূমের কাঁকড়তলা থানা ঘেরাও এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কাঁকরতলা থানার ওসির উদ্দেশ্যে বলেন যে,আপনাকে জাগাতে এসেছি, যদি না জাগেন আমরা জানি আপনাকে কোন ইনজেকশনে জাগাতে হয়। অনেক অনেক পুলিশের কর্তারা, আধিকারিকেরা দিল্লি ছুটছে, ট্রেনে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে।আর ইডি ডাকছে, সিবিআই ডাকছে। সরকারি খাঁকি পোশাক পড়ে মেরুদন্ড বিক্রি করবেন না।কয়লার কালি লাগলে, কালি মুছতে দিল্লি ছুটতে হবে। সময় এসেছে আপনাদের মানসিক পরিবর্তনের। আপনি মানসিকভাবে পরিবর্তন হন, চেতাবনি দেওয়া হলো বলে কাঁকরতলা থানার ওসি শামিম খানকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। এছাড়াও বলেন কাঁকরতলা থানা এলাকা প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।সেই সমস্ত সম্পদ শাসকদলের মদতে দেদার লুট হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ। এছাড়া এই এলাকা থেকে গরু পাচারের ও অভিযোগ তোলেন। তাছাড়া কাঁকরতলা থানার ওসি শামীম খান খয়রাসোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে হোলি উৎসবে মেতে ওঠেন, যার ছবি পর্যন্ত তাদের হাতে রয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষিতে ওসি কে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা ধরার কথা বলে কটাক্ষ করেন। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় যুব মোর্চার সহ সভাপতি তথা দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রব সাহা, সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সুন্দর গড়াই ও টুটুন নন্দী, সাধারণ সম্পাদিকা রিতা ঘোষ, দুই মণ্ডল সভাপতি গনেশ ঘোষ ও রথিলাল সিংহ সহ ভারতীয় জনতা পাটির কর্মী সমর্থকরা।