শম্ভুনাথ সেনঃ
নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে “বীরভূম জেলা যুব উৎসব” সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো ২১ মে। ভারত সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে, দুবরাজপুর মাদৃক সংঘ ক্লাব ও শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠের পরিচালনায় বিদ্যাপীঠের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হলো এই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। বীরভূম জেলাস্তরীয় এই একদিনের প্রতিযোগিতায় অঙ্কন, ফোটো স্যুট, স্বরচিত কবিতা লেখা, হিন্দী বা ইংরাজি ভাষায় বক্তৃতা এবং গ্রুপ লোকনৃত্য এই পাঁচটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৫-২৯ বছর বয়সী জেলার ২০০ জন অধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বক্তৃতা, স্বরচিত কবিতা লেখা, ফোটো শুট ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল “পাঁচ প্রাণ”। বক্তৃতা ও গ্রুপ নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীদের হাতে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার সহ দেওয়া হয় সরকারি শংসাপত্র। সরকারি উল্লিখিত সুচি অনুযায়ী স্থানাধিকারী প্রতিযোগীরা আগামীদিনে রাজ্যস্তর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক রূপে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন নেহেরু যুব কেন্দ্রের জেলা যুব আধিকারিক রায়া দাস, ব্লক যুব যুব আধিকারিক অনিন্দ্য দুয়ারী, দুবরাজপুর সারদা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস চট্টরাজ, দুবরাজপুর মাদৃক সংঘ ক্লাবের সম্পাদক দেবাশীষ নন্দী প্রমুখ। পাঁচটি প্রতিযোগিতায় ১৫ জন বিচারকের অন্যতম ডঃ রবীন ঘোষ, সোমনাথ মুখার্জী, মানিক মুখার্জী, রামপ্রসাদ ব্যানার্জি, রাজিব বণিক প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ঐশী মন্ডল, বিক্রম ভান্ডারী ও প্রিয়াঙ্কা দাস যথাক্রমে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে। এদিন অন্যান্য প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারী প্রতিযোগীদের হাতে শংসাপত্র সহ চেক তুলে দেওয়া হয়।