
দীপককুমার দাসঃ

শনিবার সন্ধ্যায় সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে সিউড়ি অন্বেষন সাংস্কৃতিক সংস্হার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চ কবির রত্ন আখর “পাঁচ কাহন” সঙ্গীতানুষ্ঠান। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুল প্রসাদ সেন এই পাঁচজন কবির লেখা গানে একসময় মুখরিত ছিল পরাধীন ভারতের আকাশ বাতাস। অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় গানের মাধ্যমে পরাধীন ভারতে জাগরণ ঘটিয়েছিলো স্বাধীনতা আন্দোলনে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুই বাংলার মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন গানে ও রাখী বন্ধন উৎসবের মাধ্যমে। নজরুল ইসলাম তার চল্ চল্ গানে দিয়েছিলেন যোদ্ধাদের পদছন্দ। কারার লৌহ কপাট ভেঙে ফেলার বার্তা দিয়েছিলেন গানের মাধ্যমে। স্বদেশী আন্দোলনের সময় মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেবার আহ্বানের মাধ্যমে আন্দোলনে ভারতীয়দের অংশগ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছিলেন রজনী কান্ত সেন। যাদের গানে একসময় মুখরিত হয়েছিল পরাধীন ভারতের আকাশ বাতাস, যারা গানে গানে আন্দোলনে ঝড় উঠিয়েছিলেন, যাদের গানে উদ্বুব্ধ যুবসমাজ ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছিলো সেই পাঁচজন কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে গণনাট্য সংঘের গণকন্ঠ শাখা ও সংস্কার ভারতী, সিউড়ি শাখা পাঁচ কবির লেখা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া আয়োজক অন্বেষণ সংস্হা ও অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। পাঁচ কবির লেখা জনপ্রিয় গান সমবেত কণ্ঠে গেয়ে শোনান কন্ঠশিল্পীরা। আয়োজক সংস্থার পক্ষে সৌম্যরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, রজনী কান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অতুল প্রসাদ সেন এই পাঁচজন কবির লেখা গান নিয়েই এদিনের অনুষ্ঠান-পাঁচকাহন। পাঁচ কবির গান একসময় বাংলায় নবজাগরণ ঘটিয়েছিলো। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের গানের ব্যাপক চর্চা হলেও রজনী কান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুল প্রসাদ সেনের গান নিয়ে বর্তমানে খুব একটা চর্চা হয় না। সেই কারণে তাঁদের গানকে আবার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। এদিন সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত ছিলেন বহু সংস্কৃতিপ্রেমী শ্রোতা।