দীপক কুমার দাস
২০০৫ সালের পর বন্ধ হয়ে গেছিল প্যাটেলনগরে অবস্হিত মহঃ বাজার গভঃ স্পনসরড প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ সংস্হার ছাত্র-ছাত্রী আবাস। সরকারী এই প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভর্তি হলেও ভগ্নদশার জন্য হোষ্টেলের বদলে বাড়িভাড়া নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। বছর সাতেক আগে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে এই হোষ্টেলের জীর্ণ সিংহভাগ বাড়ি নতুন করে সংস্কার করা হয়। তবুও নানা কারণে এই ইনষ্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রী আবাস চালু হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে পড়তে এসে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে হয়েছে। অবশেষে আজ মঙ্গলবার (১৯/৪/২০২২) দুপুরে আবার ছাত্র ছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো মহঃবাজার গভঃ স্পনসরড প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ সংস্হার ছাত্র ও ছাত্রী আবাস। এখানে ১০০জন ছাত্র ছাত্রী প্রতি বছর এই টিচার্স ট্রেনিং নিতে পারে। সম্পূর্ন আবাসিক এই ইনষ্টিটিউটের সংস্কার হওয়া হোষ্টেলে রয়েছে ১০০টি বেড। খড়িয়া, কুমোরপুর, রাজ্যধরপূর মৌজার উপর অবস্থিত এই হোস্টেল ক্যাম্পাসে নতুন ও পুরনো কোয়ার্টার মিলিয়ে মোট কোয়ার্টার আছে ৩৭টি। পুরনো ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা এবং নতুন ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা থাকবে। এছাড়া আটটি কোয়ার্টার চার জন করে ছাত্ররা থাকতে পারবে। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রী মিলিয়ে আছে ৬৯জন। মঙ্গলবার দুপুরে ফিতে কেটে হোষ্টেলের উদ্বোধন করেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ডঃ প্রলয় নায়েক। উপস্থিত ছিলেন মহঃবাজার ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিষেক মিশ্র, মহঃ বাজার গভঃ স্পনসরড প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।হোষ্টেল উদ্বোধনের পর ইনষ্টিটিউটের একটি কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উদ্বোধনী সঙ্গীতের পর উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা ট্রেনিং নিতে আসা ছাত্র ছাত্রীদের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রী আবাসে থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। ডঃ প্রলয় নায়েক জানান, দীর্ঘ ১৬বছর ধরে এখানে ছাত্র ছাত্রীদের থাকার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। আজ থেকে আবার ছাত্র ছাত্রীরা এই ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে। এক সময়ের গর্ব ও ঐতিহ্য ছিল এই প্যাটেলনগরের শিক্ষক শিক্ষণ ইনষ্টিটিউট। আবার ছাত্র ছাত্রীরা এখানে আবাসিক হিসেবে থেকে পড়াশোনা করবে এতে তারা তাদের সমগ্র ব্যাক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে পারবে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবার নবরূপে হোষ্টেলের দরজা খোলায় খুশি ছাত্র ছাত্রীরা। এক ছাত্রী অনন্যা ভট্টাচার্য জানায়, দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্য হয়ে এতদিন বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হতো।আর্থিক দিক দিয়ে যারা দূর্বল তাদের খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হতো। এখনো ছাত্র ছাত্রীরা ছাত্র ছাত্রী আবাসে থাকতে পারবে। এছাড়া সকলে একসঙ্গে থাকার আনন্দও আলাদা। অপর এক ছাত্রী সুচিত্রা স্বর্ণকার জানান, আজকে নতুন ছাত্র ছাত্রী আবাস চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। আবাসিক থাকলে অনেক কিছু শেখা যায় যা ভবিষ্যতে শিশুদের পড়ানোর জন্য কাজ দেয়। এই হোষ্টেলের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক সুবীর রায়কে।