সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
“কম বয়সে ছেলে মেয়েদের বিয়ে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ”- সরকারি ভাবে দেওয়া বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন যেন দেওয়ালেই আঁটকে রয়েছে। নতুন উদ্যমে রাজ্য সরকার বেশ কিছু প্রকল্প রূপায়ণ করেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো জনমুখী প্রকল্প। কন্যাদের শিক্ষার উন্নয়নের পাশাপাশি কম বয়সে বিয়ে রোধের এ এক প্রচেষ্টা সরকারের। তবু কিছু অভিভাবকদের অজ্ঞতায় আজও কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবনতা বহমান। ১০৯৮ টোল ফ্রি নম্বরও চালু করা হয়েছে সরকারি ভাবে চাইল্ড লাইন থেকে, কম বয়সে বিয়ে, শিশু পাচার সহ ১৮ বছরের নীচে বয়সীদের যেকোন বিষয়ক আলোচনা বা খবর দেওয়া জন্য, এক্ষেত্রে সংবাদ দাতার নাম গোপন রাখা হয়। অনুরূপভাবে মঙ্গলবার ১০৯৮ নম্বরে ফোন যায় যে, নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়ের পরিবার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার চাইল্ড লাইনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় থানা, ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে। প্রথম ঘটনা দুবরাজপুর থানার লোহা গ্রাম এবং দ্বিতীয় ঘটনা লোকপুর থানার বরঘাটা গ্রামের। চাইল্ড লাইনের সদস্য সেখ ফজলুল হক জানান, দুবরাজপুর ও লোকপুর থানা এলাকার দুটি নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করার পথে বলে ১০৯৮ এ ফোন মারফত জানতে পেরে স্থানীয় থানা, ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সদস্যদের সহযোগীতায় দুটি এলাকায় দুই নাবালিকার বাড়িতে উপস্থিত হয়। জানা যায় দুই নাবালিকার বয়স ১৭, এবং বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দুবরাজপুরের লোহা গ্রামের নাবালিকার বিয়ের দিন স্থীর হয় ২২ শে এপ্রিল ২০২২ এবং লোকপুর থানার বরঘাটা গ্রামের নাবালিকার বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে ৩ মে ২০২২। উভয় পরিবারের কাছে মুচলেকা লেখানো হয় ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবে না। মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ইত্যাদি বিষয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করে বোঝানো হয় কম বয়সে বিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলি। উভয় পরিবারের লোকজন আইন মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।