সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য হলেও জেলা পরিষদ শূন্য হলো না বাম কংগ্রেস জোটের এক প্রার্থীর জয়লাভে। বীরভূম জেলা পরিষদের আসনে বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সাব্বির হোসেন একমাত্র জয়ী হয়ে জোটের মুখ রক্ষা তথা জেলা পরিষদে খাতা খুললেন। গত ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয় ১১ জুলাই মঙ্গলবার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকবিরোধী সেভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু এবারে অনেকাংশেই অংশগ্রহণ করেছেন এবং বেশ কিছু জায়গায় ফলাফল বিরোধী শিবিরের ঝুলিতে এসেছে। এমনকি বেশ কিছু জায়গায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও অর্জন করে শাসকবিরোধী দলগুলো। এদিকে বীরভূম জেলা পরিষদের ৫২ টি আসনের মধ্যে ৫১ টিতে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি একটি আসনে জয়ী হয়েছে বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সাব্বির হোসেন। তিনি নলহাটি দুই নম্বর ব্লক এলাকা থেকে জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা জেলা পরিষদের বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আবুজাহের রানাকে ৩১৩৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। যা জেলার বুকে একমাত্র বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষে খাতা খুললেন সাব্বির হোসেন। ১২ জুলাই রামপুরহাট মহকুমা দপ্তরের সামনে কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে সাব্বির হোসেনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উল্লেখ্য সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ বিধানসভার উপনির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস জয়ী হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় দল বদলে শাসক তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেই আওয়াজের আশঙ্কায় মেঘ ঘনীভূত হয়েছে বীরভূমের একমাত্র জেলা পরিষদের বাম কংগ্রেস জোটের বিজয়ী প্রার্থী সাব্বির হোসেনকে ঘিরে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান এ বিষয়ে সময় কথা বলবে। আমি বাম কংগ্রেস সহ এতে এতো মানুষের সমর্থন নিয়ে যে জয়লাভ করেছি তা কোনদিন বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না। আপনারা ভরসা রাখতে পারেন, দেখতে পাবেন।