বিপিন পালঃ
“জপিলে সে কৃষ্ণনাম আপনি সে ত্বরে, উচ্চৈস্বরে হরিনাম ত্বরায় সবাকারে, জপকর্তা হইতে উচ্চ সংকীর্তনকারী, শতগুন লাভ হয় পুরানেতে ধরি। একবার রাম নামে যত পাপ হরে পাপীর সাধ্য নাই তত পাপ করে”। সেই অমৃত বানীকে পাথেয় করে বীরভূম জেলার খয়রাশোল থানার পাঁচড়া গীতাভবনের প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠাকালের বয়স ৩৫ বছর। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গীতা ভবনের অধ্যক্ষ তথা প্রতিষ্ঠাতা স্বামী সত্যানন্দজী মহারাজ। শুরুর সময় থেকেই চলে আসছে অখন্ড তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্তন। নববর্ষ উদযাপন, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমী, কল্পতরু উৎসব, গীতা উৎসব সহ সারা বছর নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গীতার বানী প্রচার, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরন, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলস্তরের মানুষদের নিয়ে চলা, এমনকি সকল স্তরের মানুষদের থাকে অবাধ প্রবেশাধিকার। প্রত্যেক দিন এখানে সুমিষ্ট প্রসাদ সেবার ব্যবস্থা থাকে এবং বাৎসরিক গীতা জয়ন্তীতে এক লক্ষ ভক্তের পেটপুরে সেই সুমিষ্ট প্রসাদ সেবার ব্যবস্থাও করা হয়। গীতা ভবনে ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ থেকে শুরু হলো অখন্ড হরিনাম সংকীর্তন ও ৭২ ঘন্টা ১৪ মাদল সহকারে মহানাম মহোৎসব। ১৪টি শ্রীখোল বা মাদল সহকারে শুরু হয়েছে উচ্চৈস্বরে তারকব্রহ্ম নাম। তিনদিন তিনরাত্রি ধরে চলবে তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্তন। সাথে থাকছে বহু ভক্তদের প্রত্যহ সুমিষ্ট প্রসাদ সেবার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন গীতা ভবনের অধ্যক্ষ তথা প্রতিষ্ঠাতা স্বামী সত্যানন্দজী মহারাজ, গীতা ভবনের একনিষ্ঠ ভক্ত অচিন্ত্য সিংহ, বিদ্যুৎ ঘোষ সহ বহু বিশিষ্টজনেরা।