দীপক কুমার দাসঃ
তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রী। গ্রামের মঙ্গল কামনার্থে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে মনসা বিগ্রহকে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিলো মহঃবাজার পঞ্চায়েতের খড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতিবছর দীর্ঘ দিনের প্রথা মেনে গ্রামবাসীদের মঙ্গল কামনায় রঘুনাথপুর থেকে মনসা বিগ্রহকে আনা হয় খড়িয়া গ্রামে। কিন্তু গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়। দুবছর পর আবার রঘুনাথপুর থেকে মনসা বিগ্রহকে আনা হয় খড়িয়া গ্রামে। গত মঙ্গলবার মনসা বিগ্রহকে আনা হয় এবং রাখা হয় খড়িয়ার শিবমন্দিরে। সেখানেই চলে পূজার্চনা। রবিবার থেকে পূজার্চনার পাশাপাশি মনসার গানেরও আয়োজন করা হয়। আর আজ মঙ্গলবার দুপুরে মনসা বিগ্রহকে মাথায় চাপিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। খড়িয়া শিবমন্দির থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ শোভাযাত্রার সূচনা হয়। এরপর মনসা মন্দির, ভোলাতলা সহ গ্রামের বিভিন্ন পথে শোভাযাত্রা করে আবার মনসা বিগ্রহকে ফিরিয়ে আনা হয় খড়িয়া শিবমন্দিরে। উমাশঙ্কর ব্যানাজী বলেন, গ্রামের মঙ্গলার্থে প্রতিবছর মনসা বিগ্রহকে আনা হয় রঘুনাথপুর থেকে। বিগত দুবছর করোণার কারণে বন্ধ ছিল অনুষ্ঠান। এই বছর এত রোদ্দুর উপেক্ষা করে মায়ের আর্শীবাদ নিতে এত মানুষ এসেছেন। গ্রামের এক প্রবীণ ব্যাক্তি নন্দকুমার মুখার্জি বলেন, সবাইকে সুখ শান্তি দেবার জন্য মাকে গ্রামে আনা হয়। এটা এই গ্রামের দীর্ঘদিনের প্রথা। নিজের কোলের ছেলেকে নিয়ে রোদেও বেড়িয়েছিলেন শিবানী মাহারা। তিনি বলেন, সবাই বেড়িয়েছে তাই আমিও বেড়িয়েছি। আর মা মনসা গ্রামে এসেছেন তখন মায়ের আর্শীবাদ না নিলে হয়? শোভাযাত্রা যত এগিয়েছে ততই সমাগম বেড়েছে। সকলের কামনা রোগ থেকে মুক্তির। এক গৃহবধূ রুমা মুখার্জি জানান, মা মনসা মঙ্গল করেন। দুবছর করোণার কারণে বন্ধ ছিল অনুষ্ঠান। মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি করোণা থেকে মুক্তির।