
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

নিন্মচাপের জেরে কয়েকদিন যাবৎ চলছে প্রবল থেকে প্রবলতর বৃষ্টিপাত।যার ফলে সাধারণ মানুষজন নানা দিকদিয়ে কুপোকাত। এরমধ্যে কাঁচা বা মাটির বাড়িতে বসবাসরত পরিবারগুলোর অবস্থা করুন দশা। একপ্রকার জীবনবাজী রেখেই তাদের দিনযাপন। সবসময় একটি চাপাআতঙ্ক এই বুঝি মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে বাড়ির আসবাব সামগ্রী নষ্ট থেকে প্রাণহানির আশঙ্কাজনক অবস্থা। সেইরূপ বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের পাঁচড়া পঞ্চায়েতের নামোকেনান গ্রামের বাসিন্দা সন্যাসী পাল (৩৫) স্ত্রী মামনি পাল বয়স (২৮) ও তাদের ১১ বছরের একমাত্র পুত্র নিয়ে পরিবার। অভাবের সংসার, কোনোরকমে সংসার নির্বাহ করেন। আবাস যোজনার ঘর মেলেনি।তাই তাদের বসবাস খড়ের ছাউনি মাটির বাড়িতেই। আগের বৃষ্টিতে বাড়ীটির কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। সেখানে জোড়াতালি দিয়ে, ত্রিপল খাটিয়ে কোনোক্রমে বসবাস করছিলেন। কিন্তু এবারের অবিরাম বৃষ্টিতে বসত বাড়ীটির বাকি অংশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে, কোনোক্রমে জীবনে বেঁচে যান। গ্রামের মানুষজন তাদের দূরাবস্থা দেখে স্থানীয় ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেয়। মুহুর্তে সেই খবর স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় খয়রাশোল থানার ও সি তপাই বিশ্বাস এর কাছে। তিনিও বিলম্ব না করে খয়রাশোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পৃথ্বীশ দাস কে অবগত করেন। সাথে সাথেই ব্লকের পক্ষ থেকে পরিবারটির হাতে ত্রিপল, কাপড় সহ ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।খয়রাসোল ওসির তৎপরতায় ব্লক থেকে ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে স্বভাবতই খুশি ব্যাক্ত করেন। উল্লেখ্য সদ্য খয়রাসোল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন তপাই বিশ্বাস। ইতিমধ্যে অসহায় এক মহিলার পাই গড়া অন্নপূর্ণা মন্দির নাটশালা থেকে তুলে নিয়ে দুবরাজপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেন। ভীমগড় অজয় সেতুর উপর জমে থাকা বালির স্তূপ নিজ উদ্যোগে সাফাই করিয়ে যানচলাচল তরান্বিত করেন। এরূপ বেশ কিছু কাজের তাগিদে খয়রাসোল ওসি এলাকার মানুষের কাছে বন্ধু হিসেবে পরিচিত লাভ করেন।
