বীরভূমের মুরারইতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত দুলাল সেখের মৃত্যু: গ্রেপ্তার মালেক সেখ

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের মুরারই থানার বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত দুলাল সেখ গতকাল ১৫ নভেম্বর দুপুরে মারা যায়। আজ হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ গ্রামে এলে এলাকায় নামে শোকের ছায়া। এখোনো তার স্ত্রী আরজিনা বিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনের মধ্যে মূল আসামি মালেক সেখকে মুরারই থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আজ আসামীকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, বীরভূমের মুরারইতে ছুরিকাঘাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বীরভূমের মুরারই থানার রাজগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝগড়ায় ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয় ঐ পরিবারের তিনজন। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মালেক, এমদাদুল ও সেরাজুল সেখ এই তিন যুবক মিলে প্রতিবেশী মহিমা বিবি তার মেয়ে আরজিনা বিবি এবং জামাই দুলাল সেখকে এলোপাথারি ছুরি চালায়। তার ফলে মহিমা বিবির হাত কেটে ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত হয়। আরজিনা বিবির পেটে ছুরি চালানোর ফলে তার নাড়িভুড়ি বেরিয়ে পড়ে। জামাই দুলাল সেখকে পেটে ছুরি মারে। তারও ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় মানুষজন প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা যথাশীঘ্র রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। আরজিনা বিবি এবং দুলাল শেখের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে তাদের পরিবারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন। এই ঘটনার জেরে মালেক এর বাবা আজাহার শেখ ছেলের এই ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে ঐদিনই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। শেষ পর্যন্ত মালেক সেখকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি দুজন এখোনো ফেরার।

ছবিঃ দিপু মিঞা, মুরারই; বীরভূম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *