
শম্ভুনাথ সেনঃ

পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শুভ “৭২ তম বীরভূম শুভাগমন” স্মরণোৎসব নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বীরভূমের রাজনগর ব্লকের হরিপুরে যথাযোগ্য শ্রদ্ধায় উদযাপিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ১৬ নভেম্বর বেলা ১১ঃ৩০ টায় তিনি সপার্ষদ রাজনগরের হরিপুরে “বড়মা’র” নামে খরিদ করা জমি দেখতে আসেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে শ্রী শ্রী বড়মার নামে খরিদ করা ষাট একর ৪২ শতক জমি তখন শাল মহুয়ার জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এই দিনটিকে স্মরণীয় করতে ঠাকুরের ভক্ত শিষ্যরা এই দিনটি “বীরভূম আগমনী দিবস” হিসেবে মিলন উৎসবে মিলিত হয়।সকাল থেকেই উষাকীর্তন ও সমবেত বিনতি প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুমকা ঠাকুরবাড়ি থেকে একটি সুসজ্জিত রথে শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রতিকৃতি নিয়ে শতাধিক গাড়ি সহ একটি শোভাযাত্রা ঠাকুরের আগমনস্থল বীরভূমের হরিপুর পূণ্যভূমিতে পৌঁছায়। “বন্দে পুরুষোত্তম” ধ্বনিতে মুখরিত হয় এলাকার আকাশ-বাতাস। দুপুরে সাধারণ সভায় আলোচিত হয় ঠাকুরের জীবনগাথা। এই অনুষ্ঠানে কড়িধ্যা সৎসঙ্গ আশ্রমের কর্ণধার অনিল চক্রবর্তী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ৭২ বছর আগে ঠাকুরের বীরভূম পদার্পণের কথা ও জীবন গাঁথা উপস্থিত ভক্তদের কাছে তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন ঠাকুর অনুরাগী বিশিষ্ট সমাজসেবী অমরচাঁদ কুন্ডু, দেওঘর সৎসঙ্গের রিচিরন্দন চক্রবর্তী, দুমকা ঠাকুর বাড়ির গিরিধারী যাদব, ঠাকুরের শিষ্য শিক্ষক শ্যামলাল মুরমু প্রমুখ ।পরে এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মাতৃ সম্মেলন। পরিবেশিত হয় সংগীতাঞ্জলি। দুর-দূরান্ত থেকে আগত অন্ততঃ ১৫ হাজার ভক্ত-শিষ্যরা এদিন দুপুরে একসঙ্গে গ্রহণ করেন ভাণ্ডারার মহাপ্রসাদ। উল্লেখ্য, শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ছিলেন সনাতন ধর্মের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ। ১,২৯৫ বঙ্গাব্দের ৩০ ভাদ্র তালনবমী তিথিতে বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার অদূরে পদ্মানদীর তীরবর্তী হিমাইতপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। তাঁর জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন স্বতীসাধ্বী রমনী। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহণ করেন। আজ ১৬ নভেম্বর বীরভূম শুভাগমনের ৭২ তম স্মরণোৎসবে এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা ।

