শম্ভুনাথ সেনঃ
পারিবারিক ও সর্বজনীন মিলিয়ে এবার বীরভূমের ১৯ টি ব্লক ও ৬ টি পৌরসভায় প্রায় দেড় হাজার কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পারিবারিক পুজোগুলিতে পুজোর পর দিনই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হলেও সর্বজনীন ক্লাবের পুজোগুলিতে বেশ ক’দিনই ধরেই চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক’দিন ধরেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে পুজোর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। জেলার বুকে অন্যতম নজরকাড়া দুবরাজপুর “মাদৃক সংঘের” ঐতিহ্যবাহী কালীপ্রতিমা আজ ১৬ নভেম্বর বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে নিরঞ্জন করা হয়। এবার ছিল এই পুজোর ৫৩ তম বর্ষ। সুচি অনুযায়ী আজ বিকেল থেকেই কালীপ্রতিমা নিয়ে চিরাচরিত প্রথায় শোভাযাত্রা বের হয়। পাকুরতলা মোড় হয়ে কামারশাল পেরিয়ে দুবরাজপুর থানার সামনের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পোদ্দারবাঁধ হয়ে গোকরুল গ্রাম যাবার রাস্তায় নির্দিষ্ট “কালীভাসান” পুকুরে বিসর্জন করা হয়। শোভাযাত্রায় ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যের উপস্থিতি সহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিবারের মতো এই নিরঞ্জন পর্বেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। মেটেলা, দোবান্দা, পণ্ডিতপুর, পানুরিয়া, জালালপুর, গোকরুল এমন সব বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৮৭ টি ঢাকি এই বিসর্জনে অংশ নেয়। প্রতিমার আগে আগে পলাশবনের সাঁওতালি নৃত্য সকলের নজর কাড়ে। প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ রেখে রাস্তার দু’ধারে অগণিত দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।