
শম্ভুনাথ সেনঃ
বিশ্বভারতীতে হেরিটেজ ফলকে ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তা নিয়ে একমাস ধরে নানা আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয় শান্তিনিকেতনে। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত ফলক বদলের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক৷ এই মর্মে একটি প্রাথমিক বয়ানও বিশ্বভারতীকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তাতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম রয়েছে। তবে মন্ত্রকের পাঠানো বয়ানে কোনো আচার্য বা উপাচার্যের নাম নেই৷ সুখের খবর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বসানো বিতর্কিত ফলক এবার বদলাতে চলেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। তারপরেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেতপাথরের ফলক স্থাপন করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে ১৪ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক-সাংসদেরা। সরব হয় বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারাও। সরকারি নিয়মে বর্তমানে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অবসর নিয়েছেন। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাঁকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক৷
জানা গিয়েছে, মন্ত্রকের তরফে বিতর্কিত ফলক বদল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে ফলকে কি লেখা হবে তার একটি বয়ানও বিশ্বভারতীকে পাঠিয়েছে মন্ত্রক৷ সেই বয়ান অনুযায়ী, ‘১৯২১ সালে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবধারা ও আদর্শে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী। এই শান্তিনিকেতন উদ্ভাবন ও সম্প্রীতির চেতনাকে লালন করে’, একথা উল্লেখ রয়েছে। তবে মন্ত্রকের বয়ানে নেই আচার্য ও উপাচার্যের নাম। অর্থাৎ, এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বসানো বিতর্কিত ফলক বদল করা হবে। এমন খবরে এখন খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে।