শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ১৭ নভেম্বর, ১৪৩০ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংক্রান্তি। কৃষিনির্ভর বীরভূমে এই দিনটিতে এখনো গ্রামে গ্রামে গৃহস্থ বাড়িতে “মুট আনা” বা “মুটলক্ষ্মী” পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজা হলো প্রকৃতি মানুষের সহবস্থানকে শ্রদ্ধা জানানোর পুজো। মূলতঃ নতুন ধান কাটার সূচনা পর্ব। প্রতিটি কৃষিজীবী পরিবারের একজন সদস্য সাত সকালে স্নান সেরে, পবিত্র হয়ে শুদ্ধ বস্ত্রে তাঁদের ধানের জমিতে ঈশান কোণের আড়াই আলুই পাকা ধান কেটে মাথায় করে নিয়ে আসেন বাড়িতে। ধানের শিষগুলি থাকে সামনের দিকে। মৌনব্রত অবস্থায় ধান নিয়ে বাড়ি ফেরেন। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দিয়ে তাকে পা ধুইয়ে বরণ করে নেয় এয়োতীরা। সেই ধান লক্ষ্মীবেদীতে রাখা হয়। বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের গাংটে গ্রামে রামনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তেমন ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের সর্বাধিক প্রচারিত সাপ্তাহিকী “নয়াপ্রজন্মে’র” ওয়েবসাইটের পাতায়। ধান কেটে মাথায় করে নিয়ে আসছেন গ্রামের এক কৃষিজীবী উৎপল চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বাড়ির তুলুসী মন্দিরে পুজো অনুষ্ঠানে ব্যস্ত গামেরই এক পুরোহিত বামাচরণ মুখোপাধ্যায়।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারচন্দ্রহাট গ্রামের প্রহ্লাদ মন্ডল