শম্ভুনাথ সেনঃ
কৃষিনির্ভর বীরভূমের তীর্থক্ষেত্র তারাপীঠে আজ ৬ ই অগ্রহায়ণ তারামায়ের সামনে নতুন আতপ চালের ভোগ নিবেদনের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে “নবান্ন উৎসব”। মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবান্নের দিন নির্ধারিত হয়। মাতারা আজ এখানে দেবী অন্নপূর্ণা। তারাপীঠ সন্নিহিত চণ্ডীপুর, কড়কড়িয়া,সাহাপুর, আটলা,সরলপুর, ইত্যাদি গ্রামগুলিতেও নবান্ন উপলক্ষে প্রতিটি পরিবারে এসেছে আত্মীয়-স্বজন।তারাপীঠে কোনো দেবীমূর্তির পূজা হয়না। তাই এখানে নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে দেব সেনাপতি “কার্তিক অর্চনা”! নবান্ন উৎসবকে ঘিরে তারাপীঠে সকাল থেকেই সমাগম হয়েছে বহু ভক্ত-পুণ্যার্থীর।
তারা মায়ের নবান্ন উৎসব সেই সঙ্গে কার্তিক অর্চনাকে কেন্দ্র করে থিমের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে তারাপীঠবাসী। দুর্গাপুজোর আনন্দের স্বাদ নেওয়ার জন্য “নবান্ন কার্তিক পুজো’র” সূচনা হয় সুদূর অতীতে। তখন বাড়িতে বাড়িতে কাপড় সংগ্রহ করে বাঁশ বেঁধে প্যান্ডেল নির্মান করা হতো। আর সেই প্যান্ডেলে জ্বলতো হ্যাজাক লাইট। যুগ পাল্টেছে। সময়ের সাথে সাথে নবান্ন উৎসবে কার্তিক পুজোতেও এসেছে থিমের আবেগ। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে পুজো কমিটিগুলোর মধ্যে চলে থিমের লড়াই। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তারামায়ের মন্দির সংলগ্ন মিলন সংঘের এবারের থিম “বৃদ্ধাশ্রম”। সবজি বাজার কল্যাণ সমিতির থিম “হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি”।লেটপাড়া শিশু সংঘের থিম “আলিবাবা চল্লিশ চোর”।পালপাড়া ফ্রেন্ডস ক্লাব তারা থিমের মধ্যে তুলে ধরেছে “হীরক রাজার দেশে”। রংবেরঙের আলোক মালায় সেজে উঠেছে তারাপীঠ। পাড়ায় পাড়ায় চলছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সবমিলিয়ে নবান্নকে কেন্দ্র করে কার্তিক অর্চনায় এই ক’দিন তারাপীঠবাসী থাকবে উৎসবে মাতোয়ারা ।