সনাতন সৌঃ
বীরভূম জেলায় মহিলাদের স্বনির্ভর করতে জেলা প্রশাসন নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সরকার থেকে পরিকল্পনার একটি রূপরেখা তৈরি করেছে। এই পরিকল্পনা যাতে বাস্তবে রূপায়িত হয় তারজন্য একটি তদারকি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে মাশরুম চাষের উপর। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ করে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মাশরুম চাষের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ।ইতিমধ্যে বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিউড়ীর ডি আর ডি সির সভাকক্ষে মাশরুম চাষের আগ্রহীদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) বিশ্বজিৎ মোদক, জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক সুদীপ্ত পোড়েল সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক পদস্থ কর্মকর্তারা ।অতিরিক্ত জেলা শাসক বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, আমাদের বীরভূম জেলাতে মাশরুম চাষের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। মাশরুম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র থেকে স্কুলের মি ডে মিলে পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে সরবরাহ করা হবে । আগামীতে যাতে চাষীরা এই চাষে এগিয়ে আসতে পারেন তার জন্য স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই চাষের জন্য যারা আবেদন করবেন, তাঁদের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ঋণ দেওয়া হবে। এর জন্য দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দুর্গা পুজোর আগে জেলায় মোট ৩৪২ জনকে মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি স্বনির্ভর দলকে এই চাষের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।যাতে তাঁরা মাশরুম চাষে এগিয়ে আসেন তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রত্যেক মহিলারা আর্থিক ঋণ পায়, তার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দায়িত্বরত এক পদস্থ কর্মকর্তা জানান যে, মাশরুম চাষের মূলত জেলা প্রশাসনের প্রধান দুটি লক্ষ্য। ১) জেলায় সবজির ঘাটতি মেটাতে মাশরুম চাষ বাড়াতে হবে। ২) কাজের অবসরে বাড়িতে বসে সহজেই মাশরুম চাষ করে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা। তবে মহিলা বলে নয়, যে কোনো উৎসাহী ছেলেমেয়েরা এই চাষ করতে পারেন। এই চাষের জন্য কোথায় বীজ পাওয়া যাবে, কীভাবে চাষ করতে হবে, কোথায় বিক্রি করা যাবে, সেসব বিষয়ে যাবতীয় সাহায্য করবে জেলা প্রশাসন। দায়িত্বরত আধিকারিকরা আশা করেন যে, মাশরুম ঠিকমতো চাষ করতে পারলে চাষীরা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন। বাড়ীর চাহিদাও মিটবে এবং বাজারজাত করা যাবে। পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র থেকে সমস্ত স্কুলে মি ডে মিলে সরবরাহ করা হবে। এতে বিকল্প আয়ও বাড়বে।