সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বালি ভর্তি ট্রাকের সাথে যাত্রী বোঝায় চায়না ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রান হারায় দুই কিশোর এবং গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়ে চারজন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বীরভূমের মারগ্রাম থানার অন্তর্ভুক্ত ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য যে, বালি বোঝায় একটি ট্রাক রামপুরহাট থেকে নলহাটির দিকে যাচ্ছিল অন্যদিকে ৬ জন যাত্রী সহযোগে একটি চায়না ভ্যান তেজহাটি থেকে রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় যার ফলে চায়না ভ্যানে থাকা ৬ জনের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় এবং আহত হয় অপর চারজন। এলাকাবাসীরা আহতদের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্ণমেন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায় মৃত দুই জনের নাম বন্যেশ্বর লেট এবং ইন্দ্রজিৎ লেট। মৃত দুজনেই ১৪-১৫ বছর বয়সী কিশোর। দূর্ঘটনার ফলে স্থানীয় লোকজন প্রায় দু’ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। মৃতের পরিবার সহ স্থানীয়দের বক্তব্য যে, মাড়গ্রাম থানার ডাক মাস্টার বালি বোঝায় ট্রাকটির পিছু ধাওয়া করলে ট্রাকটি দ্রুত গতিতে চলতে গিয়েই সাজোরে ধাক্কা মারে চায়না ভ্যানের উপর, যার ফলেই এই পথ দূর্ঘটনা।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে এই স্থানে আজকের দিনে নিহতের পরিবারের দাদু মদন লেটও একই ভাবে পথ দূর্ঘটনার শিকার হন বলে জানান পথ দূর্ঘটনাগ্রস্থের আত্মীয় বিমল লেট। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রামপুরহাট এসডিপিও ধীমান মিত্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন–পথ দূর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে সহানুভূতির সাথে ব্যাপারটা দেখা হবে। সরকারি ভাবে ইন্সুরেন্স এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের যে প্রাপ্য টাকা পাওয়া যায় তাহা দেখবো। পথ দূর্ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত হবে, ঘটনার জন্য কে বা কারা দায়ী তা দেখা হবে। থানার ডাক মাস্টার এর ট্রাকটিকে ধাওয়া করার প্রসঙ্গে বলেন-নলেজে নেই তাস্বত্ত্বেও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।