সাঁইথিয়ায় সত্যানন্দ ছাত্রাবাসের আবাসিকিদের পুনর্মিলন

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের সত্যানন্দ ছাত্রাবাস একদা গমগম করত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ছাত্রদের কলরবে। এখন ছাত্রাবাসে আবাসিকের সংখ্যা কম হলেও ছাত্রাবাসের আবাসিকরা ডিসেম্বর মাসে বছরে একদিন একসঙ্গে সেই স্মৃতির ছাত্রাবাসে মিলিত হয়ে নিজেদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রাখে। সেই সব আবাসিকদের অনেকেই জীবনের অনেকটা সময় পিছনে ফেলে এসে প্রবীণ অথবা মধ্যবয়সী। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে ছাত্রাবাসে থাকা আবাসিকরা একদিন পুরনো স্মৃতির ছাত্রাবাসে মিলিত হয়ে কলেজ জীবনের বা ছাত্রাবাস৷ জীবনের স্মৃতিচারণ করে। এ বছর ১৭ ডিসেম্বর সেই সত্যানন্দ ছাত্রাবাস অঙ্গনেই বসেছিল তাদের মিলন মেলা। সকাল থেকেই পুরনো আবাসিকরা জেলা এবং ভিন জেলা থেকে পৌঁছে গিয়েছিল সত্যানন্দ ছাত্রাবাসে। সকাল থেকে ছিল প্রীতিপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ। স্বাস্থ্য শিবির। তারপর মূল অনুষ্ঠানে ছাত্রাবাসে ফেলে যাওয়া জীবনের স্মৃতিচারণ। শীতের রোদে পিঠ পেতে দিয়ে পাশাপাশি বসে সুখ দু:খের গল্পকথা। এই পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের বাণিজ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড: ভাস্কর কয়ড়ি ও অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক বিজয়কুমার দাস। কর্মজীবনে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের সঙ্গে এই দুজনের ছিল প্রাণের যোগ।

সারাদিনের নানা কর্মসূচির অন্যতম ছিল “আনন্দদীপ” নামে ছাত্রাবাসের বার্ষিক স্মরণিকা প্রকাশ। অধ্যাপক ভাস্কর কয়ড়ি পুরনো স্মৃতি উসকে দিয়ে গাইলেন স্বামী সত্যানন্দদেব রচিত “জীবন পদ্মে স্পন্দিত হোক রামকৃষ্ণ সারদা নাম “… এ গানের সঙ্গে অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের এবং সত্যানন্দ ছাত্রাবাসের প্রাণের যোগ। তাই সেই গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন সকল প্রাক্তনী আবাসিক। স্মরণিকা ” আনন্দদীপ” এর প্রথম সংখ্যা উন্মোচন করে অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক বিজয়কুমার দাস তাঁর বক্তব্যে ছাত্রাবাসের অতীত সুখময় ইতিহাসের পাতা ওল্টালেন নানা ঘটনার উল্লেখ করে। আনন্দদীপ এর সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে অনিমেষ মন্ডল ও রঞ্জিত কুমার সেন বললেন, প্রতি বছর মিলনমেলায় এই স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগ জারি থাকবে। প্রাক্তন আবাসিকরা স্মৃতিচারণ করলেন পুরনো ছাত্রাবাস জীবনের। অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রাবাসের ডাইনিং এ একসঙ্গে বসে দুপুরের আহার। সেই আহারেও ছিল নানা পদের বাহার। ঘোষণা করা হল প্রাক্তন আবাসিকদের নিয়ে গঠিত কমিটির সদস্যদের নাম। তারপর যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে যাবার আগে বলে গেল : আসছে বছর আবার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *