সনাতন সৌঃ
সিউড়ী থানার অন্তর্গত হাটজনবাজার কাননপল্লীতে ২০- ২১ জানুয়ারী কিশলয় শিশুনীড় বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপিত হলো মহাসমারোহে। ২০ জানুয়ারী বেলা ১১টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ সূচনা করেন অনুষ্টানের প্রধান অতিথি বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাণীশ্বর ময়ূরাক্ষী গ্রামীণ কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর আব্দুল রইশ খান, ঝাড়খন্ড বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতির সভাপতি তথা বরিষ্ঠ সাংবাদিক গৌতম চট্টোপাধ্যায়, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পিঙ্কি দাস,ধূলোমাটি পত্রিকার সম্পাদক সৌমেশ ঠাকুর প্রমুখ। বিদ্যালয়ের জন্ম কথা ও স্বাগত ভাষণ দেন বিদ্যালয়ের অন্যতম কর্ণধার তথা সম্পাদিকা কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুর চট্টোপাধ্যায়।মুল্যবান বক্তব্য রাখেন ডক্টর রইশ খান, বিদ্যালয়ের পরিচালক কমিটির সদস্য প্রভাত শিকদার,ডক্টর পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক সরোজ কর্মকার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কৃতি গুণীজনদের সংবর্ধনা ও কিষাণলাল স্মৃতি স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয় ডক্টর আব্দুল রইশ খান, বিশিষ্ট সাহিত্যিক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, বরিষ্ঠ সাংবাদিক গৌতম চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাহিত্যপ্রেমী আনন্দ মন্ডল, বীরভূম সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সরোজ কর্মকার,পর্বত আরোহী উজ্জ্বল পাল, শিক্ষক শুভাশিষ গঁড়াই মহাশয়কে। এই উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুদিন ব্যাপী এক মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে কিশলয় শিশুনীড় বিদ্যালয়ের কচি কাঁচা ছেলেমেয়েরা নাচ- গান ,নাটক, আবৃত্তি ও কবিতা পাঠে অংশ গ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্যপ্রেমী তথা শিক্ষক জুলফিকার জিন্না।এছাড়া বিদ্যালয়ের দেওয়ালে রাখা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের আঁকা রঙবেরঙের চিত্রপ্রদর্শনী । বিদ্যালয়ের কক্ষে স্টলে রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব হাতে কলমের তৈরি বিভিন্ন প্রকল্পের বিঞ্জান প্রর্দশনী। এই উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কিশলয় নামে একটি স্মরণিকা পত্রিকা উন্মোচন করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,১৯৯৯ সালে ১০ মে এই কিশলয় শিশুনীড় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট জননেতা প্রয়াত কিষাণলাল চট্টোপাধ্যায়। তিনি শ্রমজীবী ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য এই বিদ্যালয়টি গড়ে তুলেছেন।