শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার বেজা গ্রামের বুদ্ধদেব মণ্ডলের সঙ্গে গ্রামেরই প্রতিমা দাস (৩৫) নামে এক বিধবা মহিলার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে স্ত্রীর সন্দেহ ছিল। বুদ্ধদেব মণ্ডলের স্ত্রী কল্যাণী ওরফে কলি মণ্ডল সেই সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। উল্লেখ্য, প্রতিমা দাসের স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি এই গ্রামেই মায়ের বাড়িতে থাকতেন। পরিচারিকার কাজও করতেন। ২০ শে মার্চ বিকেলে স্বামীর অনুপস্থিতিতে কল্যাণী ওরফে কলি মণ্ডল তার নিজের বাড়িতে প্রতিমা দাসকে ডেকে নিয়ে এসে ইঁট দিয়ে থেঁতলে খুন করে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে দেহটি সরষে আঁটি চাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ময়ুরেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশ গ্রামে পৌঁছতেই মৃতদেহ তুলতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবী খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বাঁধে গ্রামবাসীদের। নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে অভিযুক্ত কল্যাণী মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।