শম্ভুনাথ সেনঃ
“যা জিজ্ঞাসা করেছেন সব উত্তর দিয়েছি”, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে একথা বলেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। প্রায় ১৩ ঘন্টা তাঁর বীরভূমের বোলপুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পেনড্রাইভ সহ একাধিক নথি৷ উদ্ধার হয়েছে ৪১ লক্ষ টাকা। মন্ত্রীর মোবাইল সিজড করা হয়েছে। মহিলা অফিসার সহ ৯ জন ইডি আধিকারিক ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন গতকাল ২২ মার্চ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষকে জেরা করেই উঠে এসেছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথের নাম। এমনটাই জানা গেছে ইডি সূত্রে৷ মন্ত্রীর স্ত্রী তথা বোলপুর পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মণিকুন্তলা সিংহকেও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় তিহারে জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এই অনুব্রতর রাজনৈতিক সঙ্গী হিসাবে পরিচিত বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার তাঁর বীরভূমের বোলপুর নায়েকপাড়ার বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ সকাল ৯ টায় প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় মন্ত্রীর বাড়ি৷ মহিলা অফিসার সহ ৯ জন ইডির অফিসার ভেতরে যান৷ যদিও, সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না মন্ত্রী৷ বীরভূমের মুরারইয়ের গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তিনি৷ খবর পেয়ে দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ বোলপুরের বাড়িতে আসেন তিনি। এরপরেই শুরু হয় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষকে জেরা করেই উঠে এসেছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের নাম৷ ১০০ জন প্রার্থীর নামের তালিকা তৈরি করে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এই মর্মে মন্ত্রীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পরে তাঁর বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি, পেনড্রাইভ, মোবাইলের কথোপকথন ও ম্যাসেজের নথি ও সংগ্রহ করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। এছাড়া, মন্ত্রীর দেওয়া বয়ানও লিপিবদ্ধ করা হয়।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর স্ত্রী মণিকুন্তলা সিংহ হলেন বোলপুর পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ মন্ত্রী বলেন, “যা জিজ্ঞাসা করেছেন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। তদন্তে সহযোগিতা করেছি। সব কিছুরই উত্তর ইডি পেয়েছে।”