খুন করে পাথর খাদানে মাটি চাপা দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, ধৃত তারক টুডু নামে এক খাদান মালিক

দীপককুমার দাসঃ

ছয় দিন নিখোঁজ থাকার পর সাতদিনের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মহঃ বাজারের পাথরচাল পাথর খাদানের মাটি সরিয়ে আইএনটিটিইউসি নেতা শেখ সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধার করলো মহঃ বাজার থানার পুলিশ। আর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পাথর খাদান মালিক তারক টুডুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন সালাউদ্দিন খান। তিনি সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাবের আলি খানের ভাইপো। গত বুধবার নিখোঁজ ভাইপোর সন্ধানে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন সাবের আলি খান। গত শুক্রবার একটি ফোন পেয়ে সিউড়ির লালকুঠি পাড়ার বাড়ি থেকে নিজের স্কুটি নিয়ে বেড়িয়ে যান। বড় ফোনটা রেখে ছোট ফোন নিয়েই বেড়িয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পুলিশ এরপর আটক করে তারক টুডু নামে খাদান মালিককে। তারক টুডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃতদেহের সন্ধান পায় পুলিশ। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে স্কুটি সমেত সালাউদ্দিন খানের দেহ গভীর গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারক টুডুর লিজে নেওয়া বালক মন্ডলের পাথরচালের খাদান ঘিরে ফেলে পুলিশ। দুটি মাটি কাটা এক্সকাভের্টর মেশিন দিয়ে মাটি সরানোর পর সন্ধ্যা নাগাদ সালাউদ্দিন খানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুটিটি উদ্ধার করা যায়নি। মহঃ বাজার থানায় পরিবারের লোকজন দেহ সনাক্ত করার পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়। গত আগষ্ট মাসে ঐ এলাকায় দসনদরিয়া গ্রামের কাছে তাপস দাস নামে এক খাদান মালিককে গুলি করে খুন করা হয়। ঐ খুনে তাপস দাসের বাবা মধুসূদন দাস অভিযোগ করেন তার ছেলে খুনে মুল অভিযুক্ত তারক টুডু ও সালাউদ্দিন খান। গত শুক্রবার নিখোঁজ হবার পর সালাউদ্দিন খানের ভাই শেখ শামিম সিউড়ী থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করেন। নিহত সালাউদ্দিন খানের আদি বাড়ি সাঁইথিয়া থানার ফুলুরের বহরাপুর। বর্তমানে সিউড়ির লালকুঠি পাড়ায় থাকতেন। মহঃ বাজার এলাকায় জমি থেকে ক্রাশার ও খাদান কেনাবেচার দালালি করতেন। একটি খাদানের জমি নিয়েই তারক টুডুর সঙ্গে সালাউদ্দিন খানের বিবাদের জেরেই এই খুন বলে পুলিশের অনুমান। তিনদিন আটক থাকার পর খাদান মালিক তারক টুডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত তারক টুডুকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *