শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডের একমাত্র পুত্র অর্ক পাণ্ডের অকাল প্রয়াণে সারা দুবরাজপুরে শোকের ছায়া। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। রেখে গেলেন মা, বাবা, স্ত্রী সহ আত্মীয় পরিজনদের।
যকৃত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উল্লেখ্য, পরিবার সূত্রে খবর গত ৭ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলেন অর্কবাবু। হায়দ্রাবাদে যে চিকিৎসক অর্ক পাণ্ডের চিকিৎসা করছিলেন, তিনি জানান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। তাকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর ৯ এপ্রিল বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি তাকে পুনরায় ঐ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ICCU তে রেখে চিকিৎসা চলে তাঁর। কিন্তু মাল্টি অর্গান ফেলিওর হওয়ায় অর্ক পাণ্ডেকে শেষ পর্যন্ত ফেরানো সম্ভব হয়নি। গতকালই তিনি পরলোক গমন করেন। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী সুস্থ হয়ে ওঠা অর্ক পাণ্ডের এমন পরিণতি কি ভাবে হলো তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।
আজ ১১ এপ্রিল দুপুর ৩ টে নাগাদ অর্ক পাণ্ডের মৃতদেহ তার দুবরাজপুর নিজের বাসভবনে আনা হয়। অর্কর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নামে সারা দুবরাজপুর শহর জুড়ে। অর্ক প্রিয় এবং পীযূষ পাণ্ডের অনুরাগী অগণিত মানুষজন ছুটে আসেন শেষ শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানানোর জন্য। উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, খয়রাসোল পাঁচরা গীতাভবনের অধ্যক্ষ স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ, সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা সহ বহু আত্ম-পরিজন সহ এলাকার মানুষ জন। পরিশেষে দুবরাজপুর আমানিডোবা শ্মশানে মুখাগ্নির পর সন্ধ্যায় বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে অর্ক পাণ্ডের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।