শম্ভুনাথ সেনঃ
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আজ ২৩ এপ্রিল বীরভূমে এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারে এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে তীর্থভূমি তারাপীঠ সংলগ্ন কড়কড়িয়া মাঠে সভা করেন তিনি। এদিন প্রথমে বেলা সাড়ে ১১ টায় সভা শুরুর কথা অনুযায়ী প্রায় ১০ টা থেকে সভায় আসতে শুরু করেন কর্মী-সমর্থকরা ৷ মঞ্চের সামনে বসানো হয় মহিলাদের ৷ কিন্তু হঠাৎ ঘোষণায় তৃণমূলের সভা আড়াই ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন শ্রোতা দর্শকরা। অন্তত আড়াই ঘন্টা দেরিতে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার হ্যালিপ্যাডে নামে। প্রখর দাবদাহের মধ্যেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। সব থেকে বেশি উপস্থিতি ছিল মহিলাদের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, স্বৈরাচারী শাসন চলছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। সারা দেশ জেলখানা। যার জন্য সারা বিশ্বের কাছে আমরা লজ্জিত। বিজেপির কথা মতো, একটাই জামা পরতে হবে, একটাই খাবার খেতে হবে প্রচার বাবু যা বলে দেবেন। ধর্ম থাকবে না, তপশিলি, মতুয়াদের অস্তিত্ব থাকবে না, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব থাকবে না। হিন্দুর অস্তিত্ব ভাবছেন থাকবে? থাকবে না। আমাদের হিন্দুত্ব ওরা মানে না। তিনি প্রকাশ্যেই বলেন অভিষেক কে খুন করার প্লান করেছিস, আমরা ধরে ফেলেছি। বীরভূমে তৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করতে মুখ্যমন্ত্রী খোদ মঞ্চে থেকে খেলা হবে শ্লোগান তোলেন! সাধরণ ভোটাররা ভাবছে খেলা কেমন হবে? উঠেছে প্রশ্ন। তিনি বলেন– “বিজেপির বিশ্বাসঘাতক সম্প্রতি বলেছে যে তৃণমূল কংগ্রেস বিস্ফোরণ দেখবে। তাদের যদি আমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকে, তারা আমাকে বোমা দিয়ে মেরে ফেলতে পারে। এমনকি তারা অভিষেক ব্যানার্জী কে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমরা আগে থেকেই তা জানতে পেরেছিলাম। যদি অভিষেক তাদের সময় দিতেন, তাহলে তারা সবাইকে গুলি করে পালিয়ে যেত। তিনি এদিন অনুব্রতর প্রসঙ্গে বলেন নির্বাচনের সময় প্রতিবার কেষ্টকে গ্রেপ্তার করত, কিন্তু তাতেও ভোট কী আটকাতো? বীরভূমের মানুষ দুহাত ভরে তৃণমূলকে ভোট দিতেন। এবারও তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, উপাধ্যক্ষ ড. আশিস ব্যানার্জি, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।