শম্ভুনাথ সেনঃ
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনো ভাবেই গৃহশিক্ষকতা বা Tuition করতে পারবেন না। তা সত্ত্বেও সরকারি শিক্ষকরা চুটিয়ে গৃহ শিক্ষকতা করছেন। “বীরভূম জেলা গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির”এমনই অভিযোগ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ২৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা সদর সিউড়ির DI office অভিযান এবং বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।পরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারকলিপি।এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি অভিজিৎ চট্টরাজ, জেলা সম্পাদক সুব্রত পাত্র, জেলা সহ সভাপতি সুবল কর্মকার, ড.সপ্রতিভ ব্যানার্জী,কুণাল চক্রবর্তী সহ জেলা কমিটির এবং বিভিন্ন ইউনিটের অন্তত শতাধিক গৃহশিক্ষক শিক্ষিকারা। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক অলিকেন্দু চক্রবর্তী।
সমিতির সম্পাদক সুব্রত পাত্র জানান, “এ ব্যাপারে আগেও জেলা স্কুল পরিদর্শক বারবার নির্দেশিকা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি”। যে সমস্ত শিক্ষকরা আইনি-নির্দেশিকা অমান্য করে গৃহ শিক্ষকতা করছেন, পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যান সমিতি তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে তাঁরা মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টের ডিভিশন (Division) বেঞ্চের তিন-তিনটি রায় এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সদর্থক ভূমিকা সত্ত্বেও জেলা স্কুল পরিদর্শকরা (DI) অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির অভিযোগ। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকদের নামের তালিকা এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ (Evidence) জেলা স্কুল পরিদর্শকের নিকট বারবার তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ছবি ও তথ্য – মোহম্মদ আমিন নাশীদ, সিউড়ি বীরভূম