শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ২৩ শে শ্রাবণ। কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে পালিত হলো “হলকর্ষণ উৎসব”। উল্লেখ্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সময়কাল থেকেই এই উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। কৃষি এবং কৃষকদের উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম শ্রীনিকেতনে হলকর্ষণ উৎসবের সূচনা করেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করে আজ ২৩ শে শ্রাবণ (৮ ই আগস্ট) সাড়ম্বরে হলকর্ষণ উৎসব উদযাপিত হলো শ্রীনিকেতনে।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট পরিবেশবিদ জয়া মিত্র। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক অরবিন্দ মণ্ডল, রথীন্দ্র কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সুব্রত মণ্ডল,পল্লী শিক্ষাভবন কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিনয় সরেন প্রমুখ। রবীন্দ্র সংগীতের সুরে ছাত্রছাত্রীদের নৃত্য গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
কৃষকদের উৎসাহিত করতে হলকর্ষণ উৎসবে দুটি বলদকে যেমন সাজানো হয় তেমনি হল রাঙিয়ে ফুল মালা দিয়ে হলকর্ষণের মধ্য দিয়ে প্রতীকী চাষের শুভ সূচনা হয় এদিন। হলচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের বেজুড়ি গ্রামের এক চাষী উৎপল রায়।
এদিন বীরভূমের পাঁচজন কৃতি চাষী বন্ধুকে কৃষি কাজে তাদের কৃতিত্বের জন্য অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় সংবর্ধনা ও শংসাপত্র। সেই তালিকায় ছিলেন দুবরাজপুর ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের জীবন কুমার মন্ডল, এই ব্লকেরই বক্রেশ্বর এলাকার রিয়া চৌধুরী, বোলপুর ধান্যসরা গ্রামের পূর্ণদাস বৈরাগ্য, এই ব্লকেরই চুঙ্কু কিস্কু এবং ইলামবাজার ব্লকের দীপঙ্কর বারিক। কৃষি কাজের উন্নয়নে প্রতিবছর শ্রীনিকেতনে এই হলকর্ষণ উৎসব রবি ঠাকুরের স্বপ্ন পূরণে আজও এগিয়ে চলেছে ।