সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গ্রামের কৃষক থেকে গবেষণারত বিজ্ঞানী সবাই লক্ষ্য করছেন আবহাওয়ার পরিবর্তন। গরমকালে গরম বাড়ছে, অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা বাড়ছে, খরা বাড়ছে। হেমন্ত আর বসন্ত ঋতুকে পাওয়া যাচ্ছে খালি ক্যালেন্ডারে। পরিবেশবিদরা এরজন্য দায়ী করছেন উষ্ণায়নকে। বলছেন পৃথিবীর তাপমাত্রা আরো অনেক বাড়বে, সমুদ্রতল আরো উঁচু হবে, ফলে উপকূল এলাকা ডুববে, হিমবাহ গলে যাবে,নদী যাবে শুকিয়ে। এই সংকট থেকে বাঁচার উপায় কি? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কী হবে?এই সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধানের উপায়ের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন এন্ড সার্ভিসেস সেন্টার নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর ব্লকের সেমিনার হলে ও বিশ্ব উষ্ণায়ন বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরতেই প্রতীকি হিসেবে একটি চারা গাছে অতিথি বর্গ জল দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন। সংগঠনের চিপ প্রোগ্রাম অফিসার সোমজিতা চক্রবর্তী সংগঠনের পরিচিতি এবং আজকের মুখকথা পরিবেশন করেন।উপস্থিত অতিথিগন তাদের বক্তব্যে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন, কি করণীয় ইত্যাদি দিকগুলোর উপর আলোকপাত করেন। উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক, জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিনহা, জেলা পরিষদের খাদ্যকর্মাদক্ষ অরুণ চক্রবর্তী, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব হেমরম। এছাড়াও ছিলেন ব্লক স্তরের বিভিন্ন আধিকারিক সহ চারটি পঞ্চায়েত এলাকার আধিকারিকগণ। সংগঠনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার অ্যান্ড ফান্ড রেইজিং অফিসার সন্দীপ সরকার, টেকসই প্রজেক্ট ইউনিট ম্যানেজার রীতা ভান্ডারী, জারিফ হোসেন খান সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও উপভোক্তাগণ। একান্ত সাক্ষাৎকারে আজকের অনুষ্ঠান সম্পর্কে সন্দীপ সরকার বলেন দুবরাজপুর ব্লকের গোয়ালিয়ারা, লক্ষ্মীনারায়পুর, পারুলিয়া ও চিনপাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫০ মানুষের কাছে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। মানুষ কি বলছে, তথ্য কি বলছে সেগুলো বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে তুলে আনা হয়। আজকে সেই সমস্ত বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় বিশিষ্টজনদের সম্মুখে।উনারা ও উনাদের মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন এবং পরামর্শ দেন। জলবায়ু যে পরিবর্তন হচ্ছে তার মোকাবেলার জন্য এলাকায় সমস্ত মানুষকে নিয়ে ছোট ছোট আকারে কাজ করতে হবে। জলবায়ু সহনশীল চাষ ব্যবস্থা, কম জলে সবজি বা ফসল চাষ করা ইত্যাদি বিষয়গুলিও উঠে আসে।