সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত ১ লা আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খয়রাসোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নিকট পদত্যাগ পত্র জমা দেন বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেখ সোয়েব আজম। সে নিয়ে এলাকা জুড়ে শুরু হয় নানান গুঞ্জন।যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ টি আসনের মধ্যে সবকটি আসনেই জয়লাভ করে তৃনমূল কংগ্রেস। একমাস অতিক্রান্ত হতেই ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার খয়রাসোল বিডিও র প্রতিনিধি তথা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম অফিসার পার্থ সারথি হালদার এদিন বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত সভাকক্ষে ১৬ জন সদস্যদের নিয়ে প্রধান নির্বাচনের লক্ষ্যে বসেন।
সেখানে প্রাক্তন প্রধান সেখ সোয়েব আজম এর প্রস্তাবে এবং পঞ্চায়েত সদস্য সেখ পিয়ারুল এর সমর্থনে আল্লিনেশা খাতুন কে প্রধান নির্বাচিত করা হয় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে।প্রধান নির্বাচন ঘিরে এলাকায় টানটান উত্তেজনা থাকায় কাঁকরতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়। দলীয় কর্মী সমর্থকরা এদিন নবনির্বাচিত প্রধান কে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া এবং মিষ্টি মুখ করানো হয়। প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া তথা চেয়ারে বসার পর প্রধান হিসেবে আল্লিনেশা খাতুন এক সাক্ষাৎকারে বলেন প্রথমেই বড়রা পঞ্চায়েত এলাকাবাসীদের শুভেচ্ছা জানাই। প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে আনন্দবোধ হচ্ছে।
এরপর যে দায়িত্ব কাঁধে দেওয়া হয়েছে তা আগামী দিনে জনগণের মধ্যে পরিষেবা প্রদান করার মধ্য দিয়ে তাদের পাশে সর্বক্ষণ থাকবো বলে অঙ্গীকার করছি। এদিন নব নির্বাচিত প্রধানকে দলীয়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি দেবব্রত সাহা, রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা অসীমা ধীবর। এছাড়া ছিলেন খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির
যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি ঘোষ ও শ্যামল কুমার গায়েন, এবং সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরী ও কাঞ্চন দে। তাড়াও ছিলেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব শেখ জয়নাল, প্রান্তিকা চ্যাটার্জী, রুনু সিংহ, কেনিজ রাশেদ, কামেলা বিবি প্রমুখ নেতৃত্ব।