সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট রাজনগর-খয়রাশোল শাখার উদ্যোগে শুক্রবার মীনমঙ্গল-২০২৪ উৎসব পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বীরভূম সীমান্তবর্তী ঝাড়খণ্ডের কুণ্ডহীত ব্লকের বান্দরবেড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন শাল নদীতে কচিকাঁচাদের হাত দিয়ে মাছের চারা ছাড়া হয়। তার আগে স্থানীয় গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের কচিকাঁচাদের সাথে সাথে অভিভাবকদের সম্মিলিত পদযাত্রা বের হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ব্যানার সহযোগে এলাকা মুখরিত করে তোলে কচিকাঁচাদের দল। উল্লেখ্য বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা প্রকৃতিপ্রেমী, সমাজসেবী এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পান্নালাল দাশগুপ্ত এই মীনমঙ্গল উৎসবের সূচনা করেন। যা আজও ধারাবাহিক ভাবে প্রতি বছর পালিত হয়ে থাকে সংগঠনের উদ্যোগে।
মীনমঙ্গল উৎসবের মাধ্যমে পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যায়। মাছকে কেন্দ্র করে হলেও এই উৎসবের উদ্দেশ্য হল সার্বিক পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলা। মানুষের ভবিষ্যৎ মানুষই ধ্বংস করবে কিনা তা নির্ভর করছে জল, স্থল, অন্তরীক্ষ। আমাদের চারপাশেপরিবেশ চেতনা গড়ে তোলার বিচিত্র জীব জগৎকে আমরা রক্ষা করতে পারবো না কি দূষিত ও ধ্বংস করব। তারপর আমাদের এই বলগাহীন লোভের তাড়নায় অনেক প্রজাতির জীব অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সমগ্র পৃথিবী এবং মানুষও।
মীনমঙ্গল উৎসব হচ্ছে সামগ্রিক পরিবেশ চেতনা গড়ে তোলার হাতিয়ার। সেই বার্তা ছড়ানোর লক্ষ্যে মূলত এরূপ কর্মসূচির আয়োজন বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা যায়। এদিনের পদযাত্রার শ্লোগানে ধ্বনি ওঠে যে, মশারি জাল ব্যবহার চলবে না। ডিম ভরা মাছ খাবো না। মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বীষ চাষের জন্য ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। “ডাঙায় লাগাও গাছ-জলে ছাড়ো মাছ”- এরূপ নানান সচেতনতা মূলক শ্লোগানে ধ্বনিত হয়ে ওঠে এলাকা। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ের উপর আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।