শম্ভুনাথ সেনঃ
শেষ হয়েছে শারদীয়া দুর্গোৎসব। তবে দুর্গোৎসবের পরের পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজায় মেতে ওঠে সারা বাংলা।ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মালক্ষ্মী। ১৬ অক্টোবর বাংলার ২৯ আশ্বিন পূর্ণিমা তিথি শুরু হতেই সারা রাজ্যের সঙ্গে বীরভূমেও গ্রামে গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। এদিন রাত্রি ৭ঃ৪২ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়। এই পূর্ণিমা তিথি রয়েছে আজ ১৭ অক্টোবরের সন্ধ্যা ৫ঃ১৭ মিনিট পর্যন্ত।তাই বহু গৃহস্থ বাড়িতে এদিন লক্ষ্মী পূজার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় “সত্যনারায়ণ পূজা”। ফল, ফুল,নানা নৈবেদ্য দিয়ে সাজানো হয় মা লক্ষ্মীর বেদী। সকাল থেকেই গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে আলপনায় আঁকা হয় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ।
উল্লেখ্য, বীরভূমে সবচেয়ে প্রাচীন লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হয় ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের “ঘোষগ্রামে”। তবে প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী ধনদেবীর আরাধনা এবার এদিন হয়নি। পুজোর দিনেও তালা বন্ধ ছিল সর্বজনীন এই লক্ষ্মীমন্দির। ঘোষগ্রাম লক্ষ্মীমাতা সেবায়েত সংঘের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ২৮শে আশ্বিন থেকে চার দিনের জন্য বন্ধ থাকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত এই লক্ষ্মী মন্দির। বন্ধ থাকার পর এই মন্দির খুলবে আগামী ২রা কার্তিক। সেদিনই একই ধুমধামে লক্ষ্মীমায়ের আরাধনায় মেতে উঠবে এলাকার ভক্ত পুণ্যার্থীরা।অন্যদিকে এই ব্লকের দক্ষিণগ্রামে প.ব.সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক গৃহবধূরা এবারও কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করে। এই নিয়ে তাদের চতুর্থ বর্ষের লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হল বলে জানিয়েছেন গ্রামের গৃহবধূ মৌমিতা নাগ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাওয়া তাদের জমানো টাকায় এই পুজো পরিচালিত হয়। লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গ্রামের মা মেয়েরা।