শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তীর্থক্ষেত্র তারাপীঠ। পঞ্চপীঠের বীরভূমে এই তারাপীঠ জেলায় “সিদ্ধপীঠ” রূপে চিহ্নিত। জনশ্রুতি আজ থেকে প্রায় ১,৩০০ বছর পূর্বে বীরভূমের রত্নগড় গ্রামের (বর্তমানে বীরভূমে যার নাম রাতগড়া গ্রাম) বনিক জয়দত্ত সদাগর এক স্বপ্নাদেশ বলে শারদ শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে মা তারার পূজা শুরু করেন। তাই এই দিনটিকে তারামায়ের আবির্ভাব দিবস রূপে উদযাপন করা হয়। আজ ১৬ অক্টোবর শুক্লা চতুর্দশীতে মায়ের আবির্ভাব তিথি উৎসব ঘিরে তন্ত্রক্ষেত্র তারাপীঠে ভক্তের ঢল নামে।উল্লেখ্য, তন্ত্রসাধক বামাক্ষ্যাপা ১২৭৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ৩০ বছর বয়সে এই তারাপীঠেই তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ পায়। তখন থেকেই তারাপীঠ “শক্তিপীঠ” হিসেবে তামাম ভারতবাসীর কাছে চিহ্নিত হয়েছে। বছরের এই একটি দিনেই মাতারাকে মূল মন্দির থেকে বাইরে এনে বিশ্রাম মঞ্চে স্থাপন করা হয়। এদিন বাইরেই চলে মায়ের নৈমিত্তিক স্নান, আরতি, পূজা পাঠ, উপাসনা। বিশেষত্ব একমাত্র এই দিনেই মা তারার কাছে কোনো মধ্যাহ্ন ভোগ নিবেদন করা হয় না। মা থাকেন উপবাসী। সেই কারণে এদিন এলাকার বহু ভক্ত পুণ্যার্থীরা উপোস করেন। সন্ধ্যার পর মাকে আবার মূল মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পূণ্যদিনটিকে ঘিরে তারামায়ের দর্শনের জন্য আজ বহু পুণ্যার্থীর সমাগম হয়।