
মেহের সেখঃ
২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে সাহিত্য অকাদেমির প্রধান কার্যালয় নিউ দিল্লীর রবীন্দ্র ভবনে ৩৫ ফিরোজশাহ রোডে সাহিত্য অকাদেমির সভাকক্ষে ”প্রযুক্তি এবং বই : পাঠ ও লেখার ভবিষ্যৎ” বিষয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভার শুরুতেই সাহিত্য অকাদেমির সচিব ড. কে .শ্রীনিবাস রাও বক্তাদের স্বাগত জানিয়ে ‘প্রযুক্তি এবং বই’ নিয়ে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন । তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন এখন সোস্যাল মিডিয়া লেখক আর পাঠকের মধ্যেকার দূরত্ব ঘুঁচিয়ে দিয়েছে । উক্ত অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষতা করেন সঙ্গীত নাটক অকাদেমির অধ্যক্ষ ড. সন্ধ্যা পুরেচা। তিনি তাঁর অধ্যক্ষের ভাষণে যুব সমাজের কাছে খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের বই পৌঁছে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন । সাংবাদিক জয়প্রকাশ পাণ্ডে তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন যখন প্রযুক্তিও ছিল না তখনও শব্দ গতিশীল ছিল। সেই সময় বাচিক শিল্প ছিল এবং পরবর্তী সময়ে লিপি এসেছে । তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন পাঠ করা আর লেখার মধ্যে গুণবত্তা থাকা জরুরী। প্রকাশক এবং সম্পাদক সুশ্রী মেরু গোখলে তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বিশ্বের ৯০ শতাংশ লেখক সম্পাদক ছাড়াই নিজেই নিজের লেখা প্রকাশ করেন এবং পাঠ করেন । অনুষ্ঠানে চিত্রকর প্রেম সিংহ পাঠ ও লেখার ভবিষ্যৎ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন বই সর্বদা সাথে থাকার মতো বস্তু। নৃত্যশিল্পী সুশ্রী সিন্ধু মিশ্র তার বক্তব্যে তুলে ধরেন আজ সমস্ত শিল্পকলাতেই প্রকৃত শ্রোতার অভাব রয়েছে । সুশ্রী উষা মুজু মুন্সী পাওয়ার পয়েন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন বই কাগজ থেকে চলতে চলতে এখন স্ক্রীন এ পৌঁছে গিয়েছে । তিনি এখন এ আই এর যুগে বইয়ের ভবিষ্যৎ বিষয়েও বক্তব্য রাখেন। পুলিশ — প্রশাসক এবং প্রখ্যাত হিন্দী কবি তজেন্দর সিংহ লুথরা তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শ্রুতি পরম্পরা নিয়ে আলোচনা করেন । তিনি লিপি আবিস্কারের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন যে আমাদের পূর্বজরা লিপি আবিষ্কার না করলে আমরা আজ এ আই এর যুগে প্রবেশ করতে পারতাম না। তিনি প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন । সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাহিত্য অকাদেমির উপসচিব ড. দেবেন্দ্রকুমার দেবেশ।