
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
২০২৬ এর নির্বাচন নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে বহু কদম এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যখন ঘাঁটি সাজাতে ব্যস্ত ঠিক তখনই দলীয় কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে আসার ফলে অসস্তি বেড়ে চলেছে। সেরূপ ঘটনার চিত্র শনিবার দিন প্রকাশ্যে দেখা যায় সিউড়ি দুই নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর ব্লক তৃণমূল কার্যালয় প্রাঙ্গণে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূল কার্যালয় চত্ত্বর। একে অপরকে আক্রমনের লক্ষ্যে চলে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। ঘটনার সূত্রপাত বেশকিছুদিন ধরেই চলছিল। আজ তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। জানা যায় যে, সিউড়ি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা কাজল অনুগামী নুরুল ইসলামের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই পরিস্থিতিতে সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের তালা পরিবর্তন করা হয় । ব্লক সভাপতি যেন দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারে বলে অভিযোগ। এদিন দলীয় কার্যালয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি তার অনুগামীদের নিয়ে প্রবেশ করতেই শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে বচসা। মুহুর্তে ঘটনাস্থল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় ইট বৃষ্টি, ভাঙচুর। বেগতিক পরিস্থিতি দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ শুরু করা হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

উল্লেখ্য, ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম আগে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ছিলেন কিন্তু অনুব্রত তিহার জেলবন্দি থাকাকালীন কাজল ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন নুরুল ইসলাম। সম্প্রতি ব্লক স্তরের একটি সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না বলে অনুব্রত মণ্ডলের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন নুরুল ইসলাম। তিনি মূলত বোলপুর লবিকেই (অনুব্রত মণ্ডল) এই অশান্তির জন্য দায়ী করেছিলেন। সদ্য দিন কয়েক আগেই নুরুল ইসলাম বিরোধী বলে পরিচিত নেতৃত্বগন একটি সভা থেকে সরাসরি তৃণমূল ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম এর ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার ও হুমকি দিয়েছিলেন। সেদিন থেকেই দুটি স্রোত দুই দিকে দ্রুত গতিতে চলতে থাকে এই ঘটনা তারই জের বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি ঘর গোছাতে পারবে তৃণমূল না লাল সবুজের তকমা ছোড়াছুড়ি করে বিজেপির রাস্তা পরিষ্কার করে দেবে? এই প্রশ্ন এলাকায়।