
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত ১৯ এপ্রিল বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠক না হওয়ায় কোর কমিটির আহ্বায়কের প্রতি ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন কোর কমিটির সদস্য কাজল সেখ। যদিও তার আগেই ২৭ এপ্রিল জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। সেই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সংঘাত সৃষ্টি হয়। চলে পারস্পরিক প্রশ্নবান। সেই ঘটনার মাঝেই যথারীতি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বোলপুর জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত হয় জেলা কমিটির বৈঠক। যদিও তার আগে নির্ধারিত ছিল কোর কমিটির বৈঠক। কিন্তু সে বৈঠক অনুষ্ঠিত না হওয়ায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকট হয়ে ওঠে। কোর কমিটির বৈঠক বাতিল হওয়া নিয়ে দলে বিতর্কের রেশ তৈরি হয়েছিল আগেই। এদিনের জেলা কমিটির বৈঠকে সেই বিতর্ক যেন ফের এক নতুন মাত্রা পেল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্বের একাংশ এবং বেশিরভাগ বিধায়ক ও সাংসদ। তবে গুরুত্বপূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি, অসুস্থতার কারণে কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষও বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি বলে জানানো হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা — নানুর বিধানসভার কোনো তৃণমূল নেতাকে এদিন জেলা কমিটির বৈঠকে দেখা যায়নি। ফলে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব এখনও অব্যাহত? বৈঠক শেষে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, অঞ্চল কমিটির নেতৃত্ব এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মূলত ভোটার কার্ড সংশোধন এবং সাংগঠনিক নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, দীঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “খুবই ভালো পদক্ষেপ। ধর্মীয় আবেগের সঙ্গে মানুষের মনের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। ঐদিন প্রতিটি ব্লক এলাকায় এল ই ডি লাগিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে কাজল শেখ এবং নানুর নেতৃত্বের অনুপস্থিতি ঘিরে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে এখনো চাপা গুঞ্জন অব্যাহত।
